পাটের ফলন ভালো হওয়ায় এবং ন্যায্য দাম পাওয়ায় খুশি কুড়িগ্রামের পাটচাষির⭕া। এ বছর আগাম বন্যা হওয়ায় পাটক্ষেতে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিয়ে চাষিদের মুখে ফুটছে সোনালি হাসি।
গত বছর প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ২ হাজার টꦇাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এবারে তা বেড়ে বাজারে সর্বনিম্ন পাটের দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের দাম শেষ মৌসুম পর্যন্ত আরও ভালো পাওয়ার আশা করছেন কুড়ি♌গ্রামের পাটচাষিরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় পাটগাছের বৃদ্ধি তেমন হয়নি। এ꧅ ছাড়া আগাম বন্যা হওয়ায় নিম্নাঞ্চলের পাটক্ষেত পরিপক্ব হওয়ার আগেই কেটে ফেলতে হয়েছিল। ফলে পাটের ফলন একটু কম হয়েছে। তবে পাটের বাজার ভালো হওয়ায়, দাম ভালো পাচ♛্ছেন কৃষকরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পাটচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, “এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে লাঙল, বীজ, সেচ, কাটা, পরিষ্কার করা✅ ও সার দেওয়াসহ খরচ হয় ৮ হা🌜জার থেকে ১০ হাজার টাকা। এবার উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ মণ। বর্তমানে বাজারে নতুন পাট প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা। এবারে পাট চাষ করে বেশ লাভবান হবো।”
যাত্রাপুরের আরেক কৃষক এনামুল হক বলেন, “এবারে পাটের দাম ভালো। আমার এক বিঘা জমিতে ৯ মণ পাট পেয়েছ🗹ি। প্রতি মণ ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে ৫ মণ বিক্রি করলাম। বাড়িতে আরও পাট আছে। আশা করছি পাটের দাম আরও বাড়বে।”
যাত🍃্রাপুর হাটের পাট ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, “কেবল পাট কেনার মৌসুম শুরু। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো দামে পাট কিনতে হচ্ছে। পাটের ౠধরন অনুযায়ী ২১০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দামে পাট কিনতেছি। বাজারে ভালো মানের পাটের চাহিদা বেশি। ফলে দাম ভালো পাচ্ছে কৃষকেরা।”
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দিন মিয়া বলেন, “কুড়িগ্রামে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় পাটের ফলন কম ছিল। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট গাছের বৃদ্ধি কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল। এছাড়া আগাম বন্যার কারণে অনেক পাটক্ষেত পরিপক্ব হওয়ার আগেই ক꧑েটে ফেলতে হয়েছিল। ওই সব চাষি কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছ। তবে এবারে পাটের দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা আংশিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”