• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার কত টাকা পাওয়া গেল


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২২, ০৯:০৪ পিএম
পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার কত টাকা পাওয়া গেল

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগ🎃লা মসজিদের দানসিন্দুক এবার দুই মাস ২৯ দিন পর খ𒁃োলা হয়েছে।

এবার সেগুলোতে পাওয়া গেছে রেকর্🦩ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় দানবাক্সগুলো 🍬খোলা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্♕যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাꦍদের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানসিন্দুক খোলা হয়।

এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই প🍒াগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হ🐽াজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো ১৫টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণন🌄ার জন্য। সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাﷺকা গণনার কাজ শেষ হয়।

মানুষের দান থেকꦿে পাওয়া এসব অর▨্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।

মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান জা꧟নান, এই মসজিদে মানত কর🏅লে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।

জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সা⛦ধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে সেখানে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনের বাসনা পূরণ হয়- এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের 🅠নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এই মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমি🍃র ওপর মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। এখন মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। ম𓆏সজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক𝓰্স নামকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। এছাড়াও মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সহায়তা করা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যো🍒গ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি 🔯নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Link copied!