পাবনার সুജজানগর উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন 🌌করেছে বিক্ষুব্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের ব🍷ড়খাঁপুর গ্রামে পদ্মা নদীর পাড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশের ঊর্ধ্বতন জনৈক কর্মকর্তার ইন্ধনে রাজবাড়ী জেলার পাংশ উপজেলার প্রভাবশালী একটি চক্র সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি সুজানগরের মালিফা, কামারহাট, ন𓃲াজিরগঞ্জে বোরখাপুর, বুলচন্দ্রপুর, খলিলপুর, হাসামপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রায় শতাধিক বলগ্রেড দিয়ে তুলে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছে।”
এতে নদীতীরবর্তী এলাকায় দেখা ভাঙন দেখা দেওয়ায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘ🥃র ও ফসলী জমি। বালুদস্যুদের বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। বালু তোলা বন্ধ না হলে ভাঙন ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। দ্রুত পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালুꦐ তোলা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পাবনার তৎকালীন পুলিশ সুপার বর্তমানে ঢাকার এডিআইজি, রাজবাড়ী জেলার পাংশার প্রভাবশালী দীপক কুন্ডুসহ একটি ক্ষমতাধর চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই রাজবাড়ী ও সুজানগরের বালুদস্যুদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্তরা নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের স🎀হযোগিতা চাইলেই উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ধরে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়🐻রানী করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য র꧃াখেন, কামিন সরদার, শেখ সাদি, আলমগীর হোসেন, ইক্কা মোল্লা, আয়েন উদ্দিন, খোদেজা খাতুন🌠, আমেনা খাতুন প্রমুখ। কমপক্ষে ছয় গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।