চট্টগ্রামের নৌ ঘাঁটির দুটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়েꦐর হওয়া মামলায় পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ𓄧বদুল হালিম এই আদেশ দেন।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চি๊ত করে বলেন, পাঁচ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আ༒সামিরা হলেন এম সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান ও আবদুল গাফফার। তারা সবাই জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। এর মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক। বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
বোমা হামলার ৯ মাস পর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে মামলায় আসামি করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেপ্তার আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমꦕা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজকে আদালত এই রায় দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ১🦄৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিরꦆ ভেতরে সুরক্ষিত এলাকায় দুটি মসজিদে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বোমা (গ্রেনেড) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদগুলোতে শুক্রবার বেসামরিক লোকজনও নামাজ পড়তেন। বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন। ঘটনার পরপরই ঈশা খাঁ ঘাঁটির সব গেট বন্ধ করে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ব্যারাকের নিচতলার শৌচাগারে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত বোমা এবং একটি সুইসাইড ভেস্ট (আত্মঘাতী হামলার জন্য বিস্ফোরকপূর্ণ বন্ধনী) পাওয়া যায়।