রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছাত্র ও অভিভাবক মিলে সাধনপুর স্কুল অ🌟্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজ উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগে রনি নামের একজ🉐নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কক্ষে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবা♚র (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন শিক্ষার্থী পথিক ম🍷াহমুদ ওরফে পার্থ, তার বাবা মাসুদ রানা, মামা জাফর আলী ও তাদের অপর একজন সহযোগী রনি।
সাধনপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ ফয়েজ উদ্দীন বলেন, “দশম শ্রেণির ছাত্র পথিক মাহমুদ বখাটে প্রকৃতির। সে প্রতিনিয়ত নানা কারণে প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের সঙ্গে অসৌজ♍ন্যমূলক ব্যবহার করে। এ সকল ঘটনা তার বাবাকে জানানো হয়। বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত তিনজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসেন। সে সময় তারা কক্ষে থাকা শিক্ষকদের ব💟াইরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। শিক্ষকেরা বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তরা কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা আমাকে মারধর শুরু করেন। পরে আমার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পরামর্শ করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেছি।”
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, “প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটা তারই একটা অংশ। ছাত্রের অন্যায়ের অভিযোগ কর𝓀ায় অভিভাবকেরা শিক্ষককে মারধর করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ﷽গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।”
উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “একজন শিক꧅্ষককে প্রকাশ্যে তার কক্ষে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অধ্যক্ষকে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছি।”
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, “অধ্যক্ষকে মারধরের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ♑দায়ের পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েꦓছে।”