রাজশাহীর মোহনপুর উไপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের তেঘরমাড়িয়া গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি। পাশাপাশি চুরির আতঙ্কে রয়েছেন না🧜রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেঘরমাড়িয়া গ্রামের গভীর নলকূপকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মুনসুর রহমান ও আওয়ামী নেতা বাক্কার আলী গ্রুপের মধ্যে ৩-৪ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের⛎ জের ধরে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারী-পুরুষসহ ১৫ জন আহত হন। আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মোহনপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে তেঘরমাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামে কোনো পুরুষ নেই। ওই গ্রামে ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার বসবাস করে। তারা সকলে কৃষি ꧅কাজের ওপর নির্ভরশীল। পুলিশের গ্রেপ্তারꦐ আতঙ্কে গ্রামটি পুরুষ-শূন্য হওয়ায় নারীদের পান বরজসহ বিভিন্ন কৃষি খেতে কাজ করতে হচ্ছে।
তেঘরমাড়িয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন (৬০) নামের এꦫক বৃদ্ধ জাꦗনান, দিনের বেলায় কোনো মতে বাড়িতে এসে ছাগল নিয়ে বিলে যান। সন্ধ্যার আগেই গ্রাম ছেড়ে চলে যান। এমন আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের প্রতিটি পরিবার।
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা🔯। একদিকে গ্রেপ্তার, অন্যদিকে দুই গ্রুপের বিরোধ নিয়ে গ্রামবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
ওই গ্রামের একাধিক নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়িতে পুরুষ না থাকায় পান বরজের পান, গরু, ছাগল নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। তাদের সারারাত জেগে পাহারা দিতে হচ⛄্ছে। ঘটনার পর কয়েক𒁏টি বরজের পান চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মোহনপুর উপজেলা নিরꦦ্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ্-জোহরা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখা হবে।”
মোহনপুর থানার তদন্ত💖 (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা রয়েছে। শুক্রবারের ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছ🔯েন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”