• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জুমার নামাজ পড়তে ২০৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৯:১৭ এএম
জুমার নামাজ পড়তে ২০৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি

কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সত্যি তাই,❀ ইচ্ছা ছিল সাইকেল চালিয়ে জুমার নামাজ আদায় করা। যেমন ইচ্ছে, ঠিকꦓ তেমন কাজও তার। সাইকেল চালিয়ে প্রায় ২০৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার জন্য গিয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী রাসেল লাল বিশ্বাস। রাসেল লাল বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী পৌর এলাকার পশ্চিম গারাখোলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় তিনি একজন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের গোপালপুরে💜র ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি। এ সময় শত শত মুসল্লির কাছে প্রশংসায় ভাসেন।

এর আগে নামাজ༺ পড়ার উদ্দেশ্যে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় যাত্রা শুরু করেন। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতা করেছেন পরিবার ও স্বজনেরা।

জানা যায়, জুমার নামাজ আদায়ের জন্য গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীর পশ্চিম গারাখোলা থেকে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে নির্মিত ২০১ গম্বুজ মসজিদে পৌঁছান। পরে দুপুরে স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। সেই সময় তাকে দেখতে মুসল্লি ও স্থানীয় লোকজন ভিড় জমান। তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন মুসল্লিরা। ত♔ার সঙ্গে ছবি ও সেলফিও তোলেন উৎসুক জনতা।

রাসেল লাল বিশ্বাস জানান, পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় নির্মিত ২০১ গম্বুজের বিষয়ে জানতে পারেন। তিনি এౠসব মাধ্যমে জেনেছেন দৃষ্টিনন্দন ওই ২০১ গম্বুজ মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন। সেই থেকেই ইচ্ছা জাগে 🐈২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়ার।

তিনি জানান, পরে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ওই মসজিদে যাওয়ার। বাসে এলে আশপাশের পরিবেশ দেখা যাবে না ভেবে পুরোনো একটি বাইসাইকেল নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি পরিবারের সদস𝐆্যদের সঙ্গে আলোচনা করলে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান সাইকেল নিয়ে যেতে উৎসাহ দেন। সেই উৎসাহ থেকে প্রায় ২০৫ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে মসজিদে যেতে সক্ষম হন।

রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টার দিকে মধুখালী উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে সাধারণ একটি পুরোনো বাইসাইকেল নিয়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদের উদ্দেশে রওনা﷽ হন। কোনো বিরতি না দিয়ে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিতে নদী পার হয়ে 🐓আরিচা ফেরিঘাটে আসেন। তারপর আবার সাইকেল চালানো শুরু করেন।

মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর হয়ে দৌলতপুর উপজেলা সদরে পৌঁছান বুধবার দুপুরে। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করেন রাসেল। এরপর টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পাড় হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া এলাকায় একটি মসজিদে রাতযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ওই এলাকার মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি তাকে তার বাড়িতে রাতযাপন করার সুযোগ দেন। পর𒁏ে আবারও প্রস্তুতি নেন গোপালপুরে যাওয়ার।

এরপর সেখান থেকে ভূঞাপুর হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় আবার যাত্রা শুরু করেন গোপালপুরের উদ্দেশে। দুপুর ১২টায় তিনি গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদে পৌঁছান। পরে দুপুরের নামাজ শেষে তিনি ওই এলাকা ঘুরে দেꦑখেন। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দেওয়ার পথে নতুন নতুন অনেক জায়গা দেখার সুযোগ হয়। এতে তার খুব ভালো লেগেছে। তাই পথে কোনো ক্লান্তি বোধ হয়নি বলেও জানান তিনি।

ওই এলাকার নূর আলমসহ বেশ কয়েকজন জানান, রাসেল বিশ্বাস নামের লোকটি তার নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ২০৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সাইকেলযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালপুরের ২০১ গম্বু♍জ মসজিদে প্রাঙ্গণে পৌঁছান। পরে তাকে দেখতে লোকজন ভিড় করেন। তার সঙ্গে অনেকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিদের সঙ্গে। বিষয়টি খুবই প🔯্রশংসনীয়।

২০১ গম্বুজ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল করিম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মসজি🥂দে এসে দেখি এক ব্যক্তি সাইকেলযোগে ২০১ গম্বুজ মসজিদে এসেছেন। পরে তার সঙ্গে কথা বললে, তিনি এই মসজিদে নামাজ পড়ার ইচ্ছের বিষয়টি জানান। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে তিনি ধনবাড়ীর নবাববাড়ী মসজিদ দেখার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এখানে আসতে পেরে তিনি অনেক খুশি এবং তাকে ধন্যব𒆙াদ জানানো হয়।

Link copied!