নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাস♒ায় এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ২৪ বছর ধরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে মাটির ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। চাহিদা অনুযায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় প্রযুক্তিগত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে মাদ্রাস꧋াটি স্থাপন করা হয়। এরপর শর্তপূরণ সাপেক্ষে বরিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর ২০২২ সালে এমপিওভুক্🧔ত হয়।
দেখা যায়, উপজেলার বরিয়া এলাকার বরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৩৫ গজ𓄧ের লম্বা জরাজীর্ণ একটি মাটির ঘর। ঝুঁকি নিয়ে সে ঘরে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ঝড়বৃষ্টিতে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে এই মাটির ঘর। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পাঠদ🌳ান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
সিনিয়র শিক্ষক আজিজুর রহমান, ইউসুফ আলী ও আরজুমানয়ারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নেই, তবু চারতলা ভবন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী থাকার পরও পাকা ভবন নেই। বসার জায়গা দিতে পারি না। উপজেলার অনেক স্কুল-কꦐলেজে পাকা ভবন আছে, আরও হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে নেই।”
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, “এই উপজেলায় একটিমাত্র মাদ্রাসাই মাটির ঘর আছে। মাদ্রাসাটি ওই এলাকায় 🧔শিক্ষা বিস্তারে ভালো ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক, ফল সন্তোষজনক। শিক্ষার গুণগত মান আরও꧑ উন্নত করতে এই প্রতিষ্ঠানে একটি একাডেমিক পাকা ভবন জরুরি।”