সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট এলা🌃কায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ওয়াজ করতে না দেওয়ায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছেন𒀰 উত্তেজিত জনতা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটনা🌄টি ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড টিআরসেল, ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়꧃ে।
এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরপর পুলিশ ♛জিজ্ঞেসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে। একই সঙ্গে পুলিশ ১২ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদাঘাট বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে হিলফুল ফুযুল নামে সংঘটনের♛ 𝓀আয়োজনে ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার ওয়াজ শুনতে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। রাত ১২ টার দিকে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ওয়াজ মাহফিলে আসার পথে তাকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
পরে রাত ১২টার পর মাইকে জানানো হয় তিনি আসতে পারবেন না। এ সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানায় সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে পারেনি। এ সময় অনেকেই নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেও উত্তেজিত জনতা নানান শ্লোগানে মিছিল ব⛄ের করে। পুলিশ ফাঁড়ির দিকে অগ্রসর হয়। এরপর পরেই উত্তেজিতরা মিছিল করে ও পুলিশ ফাঁড়ির দিকে যায়।
বাদ♌াঘাট ফাড়ির ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম জানান, উত্তেজিত জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে নানান শ্লোগান তুলে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে মিছিলটি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু ক🔯রলে পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ২০জন আহত হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজম✨ুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৬০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় নাম উল্লেখিতদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”