বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুর্♊ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার একই পরিবারের সদস্য। রোববার (༒২৩ জুন) সকাল ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
এসময় নিহতের স্বজন ও 😼এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেইসঙ্গে দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বরগুনার আমতলিতে বোনের মেয়ে হুমায়রার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যায় শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী টেলিটক চাকুরিজীবী মুন্নী বেগম (৪০), ২ মেয়ে তাহিয়া (৭) ও তাসফিহা (১১)। এর আগে বুধবার (১৯ জুন) শিবচরের একই ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বোন ফরিদা বেগম (৪০), ভাবী ফাতেমা বেগম (৪০), ২ ভাগনে মাহাবুব খান, সোহেল খান, তার স্ত্রী রাইতি (৩০), রাইতির মা রুমি বেগমসহ (৪০) পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয়স্বজন ওই অনুষ্ঠানে যান। শুক্রবার (২১ জুন) বিয়েতে সবাই অংশ নেন। শনিবার (২২ জুন) আত্মীয় স্বজন নিয়ে বৌভাতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্♐রোবাস পানিতে পড়ে যায়।
এতে ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়া, তাসফিহা তার বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম,𒁏 বোন ফরিদা বেগম, ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী ෴রাইতি বেগম, রাইতির মা রুমি বেগম নিহত হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর গ্রামের বাড়🎃ি মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামে পৌঁছালে শোকের মাতম উঠে বাড়িতে। শোকে স্তদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। দূরদূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমায় মাহাবুবুর রহমান সবুজের বাড়িতে।
ভদ্রাসন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারি জানান, বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা বরগুনা গিয়েছিল। পরে সেতু ভেঙে💖 খালে পড়ে যায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। এই ঘটনায় মাহাবুবের মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও মামার পরিবারের মোট ৭ সদস্য মারা যান।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। জানাজার নামাজের শরিক হয়েছি। নিহত ৭ জনের পরিবারের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ꦫ হাজার করে মোট ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।”