• ঢাকা
  • বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আবাসিক হলের পুকুরে অবাধে বহিরাগতদের মাছ শিকার


রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম
আবাসিক হলের পুকুরে অবাধে বহিরাগতদের মাছ শিকার

রাজশাহী বিশ্বব😼িদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের পুকুর থেকেಞ প্রতিদিনই অবাধে মাছ শিকার করে নিচ্ছে বহিরাগতরা।

বুধবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ও শহীদ সোহর𒆙াওয়ার্দী হল সংলগ্ন পুকুর থেকে বহিরাগত মাছ শিকার করতে দেখা যায়।

মাছ শিকার করতে আসা এওকজনের কাছে তার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে নাম না জানিয়ে নিজেকে মাদার বক্স হলের একজন স্টাফ বলে দাবি কর��েন।

এভাবে মাছ শিকারের অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে অপর একজন বলেন, “সবাই তো মাছ শিকার করছে; কꦐেউ তো কিছু বলছে 👍না। আমি মাছ ধরলে সমস্যা কোথায়?”

এদিকে ঘাটের পাশেই সাত পুকুর গবেষণা প্রকল্পের স্তম্ভে ‘মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নি๊ষেধ’ লেখা থাকলেও তোয়াক্কা করছেন না ൩কেউ। এ ব্যাপারে আবাসিক হলের নিরাপত্তাকর্মীদের নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে কৃষি প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে ‘সাত পুকুর গবেষণা প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। ক্যাম্পাসের সাতটি পুকুরের সংস্কার, সৌন্দর্য বর্ধণ, পোনা ছাড়া ও সংরক্ষণের মোট ব্যয় ধরা হয় ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪২ টাকা। এই প্রকল✱্পের আওতাধীন পুকুরগুলোতে মাছ ধরা, গবাধিপশু গোসল করানো, কাপড় ধোয়া বা সামগ্রিক পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের গোসল ও সাঁতারকাটায় কোনো প্রকার বিধিনিষেধ না থাকলেও পুকুরগুলোত🔴ে মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা হয়। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, “হলের পুকুরগুলো কৃষি প্রকল্পের আওতাধ🌠ীন পরিচালিত হয়। পুকুরের মাছের নিরাপত্তা বিধান করাও তাদের দায়িত্ব। এই বিষয়��ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।”

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের ⛄ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্🔯ত প্রধান প্রকৌশলী এম ইমরান আলী বলেন, “পুকুরটি কৃষি প্রকল্পের কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। তবে, সাত পুকুর গবেষণা প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এটি সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী জাকারিয়া স্যারের সময়কালে নেওয়া হয়েছিল। উনি চলে যাওয়ার পর প্রকল্পটির কার্যকারিতা আর নেই।”

বহিরাগতদের এমন অবাধ বিচরণ ও মাছ শিকারকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাকিল আহাম্মেদ বলেন, “যদি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে༒ থাকে, তাহলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য পুকুরের মাছগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। আমাদের পুকুরে এসে বহিরাগতরা মাছ শিকার করে নিয়ে যাবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সার্বিক বিষয়ে বলেন, “বহিরাগতরা তো ক্যাম্পাসেই ঢোকার কথা না। আমরা একটা পোস্টার দিয়েছিলাম যেখানে মাদার বক্স হল, জোহা হল আর সোহরাওয়ার্দী হল এই তিনটি হলের⛦ দায়িত্বে পুকুরটিকে রাখার জন্য। আমি মনে করি, ক্যাম্পাসের যা সম্পদ, তা আমদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য। কোনোভাবেই সেখানে বহিরাগত লোকজনের প্রবেশাধিকার নেই।”

Link copied!