• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ জানুয়ারি, ২০২৫, ,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দুই মাথা-তিন পা নিয়ে শিশুর জন্ম, বিপাকে দরিদ্র বাবা-মা


মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
দুই মাথা-তিন পা নিয়ে শিশুর জন্ম, বিপাকে দরিদ্র বাবা-মা
জোড়া লাগানো নবজাতক দেখতে হাসপাতালে ভিড় করেন অনেকে। ছবি : সংগৃহীত

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়💫 হামিদ খাঁ ও মিতা বেগম দম্পতির ঘরে জোড়া লাগানো দুই মাথা-তিন পাসহ ছেলে শিশুর জন্ম হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দারিয়াপꦉুর ই🐟উনিয়নের চর চৌগাছি গ্রামে রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করেন।

নবজাতক এই শিশুর ২টি মাথা, ৪টি চোখ, ১টি পেট, ১টি পুরুষাঙ্গ, ৩টি পা, ৪টি হাত এবং এক পায়ে♓ ৮টি আঙুল রয়েছে। দুই মেয়ের পরে এবার জোড়া লাগানো পুত্র শিশু জন্ম দিয়েছেন মিতা বেগম। বর্তমানে শিশু এবং শিশুটির মা স্থানীয় উ🐲পজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সন্তান প্রসব করানো ধাত্রী রুপিয়া বেগম বলেন, “৩০ বছর ধাত্রীর কাজ করছি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমার বাড়ির পাশে এক গর্ভবতী মহিলার প্রসব বেদনা উঠেছে খবর পেয়🦂ে তাদের বাড়িতে যাই। অনেক সময় ধরে সন্তান প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা করার পর ৪টা হাত, ৩টা পা, দুটি মাথাওয়ালা জোড়া বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়। বাচ্চাটা দেখে আমি ভয় পেয়ে গেছি। তবে এই বাচ্চার পরিবার খুবই দরিদ্র ও অসহায়।”

প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন বলেন, “আমার বাড়ির পাশে হতদরিদ্র পরিবারে জোড়া লাগানো বাচ্চার জন্ম হয়েছে। এ বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর থেকে বেলা ২টা পর্যন্ꦡত কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা দেখতে আসছে তারা ৫-১০ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (দারিয়াপুর) পাঠানো হয়েছে। বাচ্চার বাবা ৫ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অসুস্থ। বাচ্চার খাবারের জন্য দুধ দরকার। পরিবারটির এমন অবস্থা দুধের টাকাও ঘরে নেই। কোনো বিত্তবান ব্যক্তি বা সরকারের পক্ষ থেকে এই হতদরিদ্র পরিবারকে সহযোগিতা দিলে তারা উপকৃত হবে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিღৎসাধীন শিশুটির মা মিতা বেগম বলেন, “আমরা খুব গরিব মানুষ। বাচ্চাকে মাগুরা শিশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে🐻 গিয়েছিলাম। তিনি ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন। টাকা-পয়সার অভাবে নিতে পরছি না। সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও কাজী নাজমুস সাকিব বলেন, “শরীর জোড়া লাগানো বাচ্চা বাসায় ডেলিভারি হয়।পরে আমাদের হাসপাতালে বাচ্চা এবং মা ভর্ত🔥ি করা হয়। বাচ্চার মলদ্বার পাওয়া যায়নি তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ আছে। ঢাকা শেরে বাংলা নগর শিশু হাসপাতাল গেলে কম খরচে ভালো চিকিৎসা পাবে। রোগীর পারিপার্শ্বিক যে বিষয়াদিগুলো আছে এগুলো ব্যবস্থা করার পর সিদ্ধান্ত নেবে। এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে রয়েছে।”

Link copied!