সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দাওয়াতি কাজে গিয়ে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে ইসলামী ছ♏াত্রশিবির। এর জেরে তারা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এস এম আতাউল হক দোলনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ব💙ৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ꦓত শ্যামনগর উপজেলার গোমানতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও শ্যামনগর থানা-পুল𒉰িশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রশিবিরের ২০-২২ জন নেতা-কর্মী দাওয়াতি কাজের জন্য আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এস এম আতাউল দোলনের বাড়ি সংলগ্ন গোমানতলী ফℱাজিল মাদ্রাসায় যায়।
ছꦍাত্রশিবিরের নেতাদের দাওয়াতি কাজে মাদ্রাসায় আসার বিষয়টি জানতে পেরে 🅘গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে গ্রামবাসীদের হামলায় শিবিরের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ সময় গ্রামবাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত শিবিরের সাহিত্য সম্পাদক আসাদুল্লাহ সাঈদী (১৯), মহসীন কলেজের সেক্রেটারি আল শাহরিয়ার রোকন (১৭), পৌর সেক্র𓆉েটারিꦺ আব্দুল্লাহ আল সিয়ামসহ (১৬) শিবিরকর্মী মিরাজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা যায়, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিবিরের প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী উপজেলা সদরে জড়ো হন। একপর্যায়ে প্লাস্টিকের পাইপ ও লাঠিসোঁটাসহ তারা মিছিল সহকারে গোমানতলী গ্রামে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আতাউল হক দোলন ও তার বাবা সাবেক এমপি এ কে ফজলুল হকের বাড়ি দুটিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বাড়ি দুটিতে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি হামলাকারীরা ফজলুল হকের বাড়ির বিভিন༒্ন কক্ষে ঢুকে যাবতীয় জিনিসপত্র তছনছ করে। ফজলুল হক সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত। ঘটনায় সময় আতাউল হক দোলন ও তার বাবা ফজলুল হক বাড়িতে ছিলেন না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাশিদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের দাওয়াতি কাজে যাওয়ার পর বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির ছেলে ফাহিম রꦆাব্বির নির্দেশে নেতাদের ওপর হামলা হয়। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নেতাদের মারাত🔯্মকভাবে আহত করা হয়।
সংগঠনের ১৬ নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করে তিনি আরও বলেন, নেতাদের ওপর হামলার খবরে কিছু উত্তেজিত কর্মী সমর্থক বিকেলের দিকে হামলার নেতৃত্ꦅবদানকারী ফাহিম রাব্বির বাবা ও দাদার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তাঁরা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আতাউল হক দোলন জানান, শিবিরের কিছু কর্মী তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় গেলে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তার ছোট ছেলে ফাহিম রাব্বি এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অথচ তার ছেলের নেতৃত্বে শিবিরকর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে ৪০০-৫০০ জামায়াত-শিবিরের লোকজন বিকেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের দুই বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি ব্যক্তিগত গাড়িসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙ❀ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বৃদ্ধ পিতার শয়নকক্ষে ঢুকেও হামলাকারীরা ব্যাপক লুটতরাজ করেছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, দুপুরের আগে হামলার ঘটনায় আহত শিবিরকর্মীদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সে সময় পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও হঠাৎ বিকেলের দিকে উত্তেজিত কিছু তরুণ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় কোনো পক꧅্ষ রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।