ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়𓆉ায় ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওড়া নদীর বাঁধের তিনটি অংশসহ সড়কের আট স্থান ভেঙে উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৩৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী আছেন পাঁচ হাজার মানুষ।
উপজেলা প্র🎃শাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, ইটনা, লক্ষ্মীপুর, গাজিরবাজার, সাহেবনগরসহ অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। পানির চাপে আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা উপজেলার গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী বেইলি সেতু ভেঙে যায়।
উপজেলার ইটনা ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের দুটি অংশে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট করে ভেঙে গে🔥ছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কসহ বেশ কয়েকটি 🍌সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভারী ꩲবর্ষণে খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ছয়টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ইটনা এবং খলাপাড়া এলাকার কবরস্থান ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের নদীর বাঁধের তিনটি অংশ ভেঙে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। এ ছাড়া পানির চাপে উপজেলার দুটি সড়কের তিনটি স্থান ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হ🤪াবিবুর রহমান, সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মোহাম্মদ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন হাওড়া নদীর বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইটনা ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের দুটি অংশে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট করে ভেঙে গেছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে 🧸গেছে। 🍃এতে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।
এলাকাবাসী জানান, আখাউড়ার সীমান্তবর্ত꧂ী এলাকা জয়নগর দিয়ে ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানি তীব্র বেগে আসছে। মূলত উপজেলার হাওড়া নদীর ও আগরতলা সংযুক্ত আখাউড়া ইমিগ্রেশনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জাজিরা ও কালন্দি খাল দিয়ে ভারত থেকে পানি ঢুকছে। আগরতলায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানির আসা বন্ধ হবে না। বর্ত♐মানে পানির বেগ অনেক বেশি। উপজেলার ছয়ঘরিয়া ও শান্তিপুরের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
পানি๊ উন্নয়ন বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর হোসেন বলেন, আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগরে পানির বিপৎসীমা ৫ দশমিক ৫০ মিটার। কিন্তু বর্তমানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে হয়েছে ৫ দশমিক ৭৯ মিটার দিয়ে প্রবা🌊হিত হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভিন বলেন, উপজেলার বাঁধসহ সড়কের আটটি স্থ🐠ান ভেঙে পানি ঢুকছে। ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারের সদস্যদের নিকটবর্তী কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।