বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ไলঘুচাপের প্রভাবে বৈরী আবꦛহাওয়ায় বরগুনার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত বরগুনায় বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়🌱ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মেঘের দাপটে তিন দিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা। একই সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাবে বিষখাল♕ী ও পায়রা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরগুনার বাশবুনিয়া এলাকার নাঈম হোসেন বলেন, “সকালে বৃষ্♔টির কারণে অফিসে যেতে পারিনি। ছেলেমেয়𝓡ে স্কুলে যেতে পারছে না।”
রিকশাচালক সোবহান বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমাদের নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি ক্ষতি হচ্ছ𝐆ে। রাস্তায় বের হতে না পারায় একপ্রকার কর্মহীন হয়ে পড়েছি।”
গোলবুনিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, “এ এলাকাসহ বেশকিছু এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে আছে। বৃষ🦩্টি ও জোয়ারে মানুষ আতঙ্কে আছে।”
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়েই জেলেদের জানানো হয়েছে। তারা নিরাꦺপদ আশ্র🐟য়ে ফিরে আসছেন।
পাথরঘাটার ♛জেলে আইজুদ্দিন বলেন, “সাগর উত্তাল। তাই আমরা সাগর থেকে ফিরে এসেছি।”
কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) বিএন লে. মোহাম্মদ হাসান মেহেদী বলেন, “গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা যানগুলোকে🅺 উপকূꦑলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সমুদ্রে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।”
আবহাওয়ার😼 সতর্কবার্তায় জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক 🦹জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।