গত কয়েক দিন থেকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে আত্রাই নদীর পানি। এতে মান্দা উপজেলার জনগণের মাঝে 𒁃আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানির দুশ্চিন্তা কাটতে না কাটতেই আবারও নদীর পানি বাড়ছে। এতে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা চাষাবাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও আবারও বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আত্রাই নদীর পানি কখনও কমছে, কখনও বাড়ছে। পানির এই হ্রাস-বৃদ্ধিতে নদীর অরক্ষিত তীরে ভাঙনের আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া নদী তীর🎃বর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বন্যার আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন ফসল লাগানোর প্রস্তুতি নিলেও তারা এখন আতঙ্কে আছে।
দীর্ঘদিন ধরে নদীর পানি বাড়ায় মা🎐নুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ফের বন্যার কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এ কারণে এবারও জুন মাসে বন্যার আশঙ্কায় অনেক কৃষক সবজির আবাদ শুর✨ু করতে দ্বিধায় ভুগছেন। এ ছাড়া গত বন্যায় এখনও বিধ্বস্ত বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো। ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেন নি নিম্ন আয়ের মানুষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে প্রায় ২৭ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর, কশব, নুরুল্যাবাদ, ও ভালাইন ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে আমন চাষ করা হয়। গত বছর আমন চাষের মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চিনি আতপ ধানের চাষ হয়েছিল। এতে করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবানও হয়েছিল। এবার আগাম বন্যার পানি মাঠে চলে আসায় আমন চাষ ব্য📖াহত হতে পারে।
উপজেলার কয়লাবাড়ি গ্রামের জব্বার আলি বলেন, “আমাদের বোরো ধান কেটে শেষ 🍎না করতেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পানিতে ভরে গেছে, জমির পানি একটু কমলেও আবারও বাড়ার কারণে আমন আবাদ করা সম্ভব হবে না।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শায়লা শারমিন বলেন, “হঠাৎ করে আবারও আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলে জলাবদ্ধতা কমে যাবে। আমরা আশা করছি মাঠে পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুরোদমে আমন চাষ করতে পারবে।”