বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল গত বছরের জুলাইয়ে জানিয়েছিলেন, দেশের হয়ে ক্রিকেটের এখানেই ইতি। তুলে রাখতে চান লাল-সবুজের জার্সিটা। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন। যদিও সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলꦬতে পারেননি।
ক্ষমতার পালাবদলে দেশে এখন চলছে অন্তর্বর্তীඣকালীন সরকার। বিসিবি প্রধান হিসেবে ফারুক আহমেদ ফিরতেই মূলত সাবেক এই অধিনায়কের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ‘জাতীয় দলের দরজা তার জন্য খোলা’ বলেই আভাস দিয়েছেন নতুন বিসিবি সভাপতি।
এই মুহূর্তে ভারতে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন তামিম। সেখানেই ক্রিকেট বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেছেন টাইগার𝓀 এই ওপেনার।
তামিম বলেন, ‘‘যেভাবে আমি বিদায় নিয়েছিলাম, সেটা মোটেই সুখকর ছিল না। তাই যদি আমি আবার ফিরে আসি, তাহলে আমার জন্য একটা উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন। আমি এমন কেউ নই যে শুধু খেলার জন্য ফিরে আসব এবং চার-পাঁচটি ম্যাচ খেলব। এর কি কোনো মানে হবে? সবাই বলে, ‘ফিরে আসো, আꦗমরা তোমাকে চাই’, কিন্তু আমি যদি পাঁচটি ম্যাচ খেলে ফিরে যাই, তাহলে সেটা কি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কোনো কাজে আসবে? যদি তারা একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আসে এবং আমরা আলোচনা করতে পারি, তাহলে আমি চিন্তা করতে পারি।’’
আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে তামিমের দলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জানালেন, ‘এখন, আপনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বলছেন, যেখানে আপনার চার থেকে পাঁচটি ওয়ানডে থাকবে বড়জোর 𓆏এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি আছে। মূলত, আপনি ছয় থেকে সাতটি খেলার কথা বলছেন। আমি যে জায়গা থেকে সরে এসেছি এবং অন্য কেউꦕ আমার ভূমিকা নিয়েছে, তখন আমি মনে করি না যে এই কয়েকটি ম্যাচের জন্য আমার ফিরে আসা বোধগম্য।’
মাঠে ফেরার জন্য সতীর্থদের ভূমিকার কথাও বললেন তামিম, ‘কথা হলো- আমি কি ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে খেলবো, নাকি দলের হয়ে? (অনুরোধ) কোথা থেকে আসা উচিত? ক্রিকেট বোর্ড আমার দেখাশোনা করে কিন্তু খেলোয়াড়দেরও স্বাগত জ▨ানাতে হবে।’