সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ঠাসা সূচিতে দম ফেলার সময় ছিল না বাংলাদেশের ক্রিকেটার𓄧দের। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবি দর্শকদের হতাশ করেছে। সারা বছর ওয়ানডেতে খুব ভালো করেনি লাল-সবুজের দলটি। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উন্নতির ছাপ ছিল লক্ষ্যণীয়।
টেস্ট বিশ্বে বছরটিতে ম্যাচ প্রতি গড়ে 🤪সর্বাধিক উইকেট লাভে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের কৃতি স্পিনার ৩১ বছর বয়সী ন🎐াটোরের ছেলে তাইজুল ইসলাম। যেখানে তিনি লায়ন, কামিন্স, স্টার্ক, অশ্বিন, ব্রডদের ছাড়িয়ে গেছেন। আবার সেরা উইকেট শিকারীদের তালিকাতেও তিনি আছেন নয় নম্বরে। এই দুই সাফল্যে বলা যায় তাইজুল গেল বছরে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার গুডাকেশ মোটি ৩ ম্যাচে ২২টি উইকেট লাভ করে ম্যাচ প্রতি গড়ে উইকেট লাভে শীর্ষꦍে রয়েছেন। তিনি ম্যাচ প্রতি ৭.৩টি উইকেট পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার নান্ডে বার্গার ১ ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়ে গড়ে পেয়েছেন ৭টি। এরপরই তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তাইজুল। তিনি মাত্র ৪ টেস্টে লাভ করেছেন ২৬টি উইকেট। তাইজুলের ম্যাচ প্রতি গড়ে উইকেট প্রাপ্তি ৬.৫টি। ইংল্যান্ডের ওকস ৩ ম্যাচে ১৯টি উইকেট পেয়েছেন। তিনি গড়ে ৬.৩টি উইকেট লাভ করে চতুর্থ স্থানে আছেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের পেসার আমীর জামাল। তিনি ২ টেস্টে ১২টি উইকেট পেয়েছেন। যার গড় ম্যাচ প্রতি ৬টি উইকেট। নিউজিল্যান্ডের মিচেল সান্টনারও জামালের সঙ্গে যৌ🐠থভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। তিনি ১ টেস্টে ৬ উইকেট পাওয়ায় তার গড়ও ৬টি উইকেট।
বিদায়ী বছরে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক উইকেট স🐷ংগ্রাহকের তালিকাতে নয় নম্বরে রয়েছেন তাইজুল। অজি স্পিনার নাথান লায়ন ১০ টেস্টে ৪৭ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ১১ ম্যাচে ৪২ উইকেট নিয়ে তালিকায় দুইয়ে আছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স। ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭ টেস্টে ৪১ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে। ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ৮ টেস্টে ৩৮ উইকেট শিকার করে চারে রয়েছেন। পাঁচে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক ৯ টেস্টে ৩৮ উইকেট, ছয়ে ভারতের স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ৭ টেস্টে ৩৩ উইকেট, সাতে শ্রীলঙ্কার স্পিনার প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৬ টেস্টে ৩০ উইকেট, আটে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জস হ্যাজলউড ৭ টেস্টে ২৭ উইকেট, নয়ে তাইজুল ৪ ম্যাচে ২৬ উইকেট এবং দশে নিউজিল্যান্ডের পেসাཧর টিম সাউদি ৭ টেস্টে ২৪ উইকেট।
মোট উইকেট লাভে যার🅰া তাইজুলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তারা সকলেই ম্যাচ প্রতি উইকেট লাভে বাংলাদেশি স্পিনারের পেছনে রয়েছেন। নাথান লায়ন সবচেয়ে বেশি উইকেট পেলেও ম্যাচ প্রতি তার উইকেট ৪.৭টি, কামিন্সের উᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚইকেট ৩.৮টি, অশ্বিনের উইকেট ৫.৯টি, ব্রডের উইকেট ৪.৮টি, স্টার্কের উইকেট ৪.২টি, জাদেজার উইকেট ৪.৭টি, জয়াসুরিয়ার উইকেট ৫টি এবং হ্যাজলউডের উইকেট ৩.৯টি।