নিজের জন্মদিনে দারুণ প্রশংসনীয় এক উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েনꦕ্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান🍷। ক্যান্সার নিয়ে একটি ফাউন্ডেশন গড়েছেন সাকিব, সেটারই পথ চলা শুরু হলো আজ।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে পথচলা শুরু হয়েছে ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের।’ যেখান𝕴ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। তার হাত ধরেই উদ্বোধন হয়েছে ফাউন্ডেশনের লোগো ও ওয়েবসাইট।
শুরুতে ফাউন্ডেশন সম্পর্কে সবাইকে বিস্তারিত জানান সাকিব আল হাসানের ছোটবেলার কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। প🌼ুরো অনুষ্ঠানও তিনিই উপস্থাপনা করেছেন। এরপর একজন ক্যান্সা﷽র বিশেষজ্ঞ তার বক্তৃতায় ক্যান্সারের ভয়াবহ ও চিকিৎসার ব্যায়ের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
এরপর বক্তব্য রাখেন নাজমুল হাসান পাপন। নিজের বক্তব্🤪যে তিনি বলেন, "আজকে সাকিবের জন্মদিন, আমি জানতাম না এটা। যদিও এটা আমার জানার কথা ছিল কিন্তু জানতাম না। এই দিনে এ ধরনের পোগ্রাম করার চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারত না।"
তিনি আরও বলেন, "ক্যান্সার হলেই যে মানুষ মারা যাবে এখন আর সেই দিন নেই। যদি শুরু থেকে চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে এটা নিরাময় সম্ভব। অন্তত বেঁচে থাকার সময় বেড়ে যাচ্ছে অনেক বছর। যত দ্রুত আমরা এটি জানতে পারবো, যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবো তত দ্রুত মানুষটাকে সুস্থ করে তুলতে পারবো। সবচেয়ে বড় কথা সচেতনত আর যেখানে সাকিবের꧙ নাম আছে তার থেকে বড় কিছু তো আর হতে পারে না।"
অনুষ্ঠানে সাকিব নিজেও বক্তব্য রাখেন। লিখিত বক্তব্যে ফাউন্ডেশন নিয়ে স্বপ্নের 𝐆কথা শোনান বার্থডে বয়। বিশ্🅺বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, তাদের ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য, একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা। তবে তার আগে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মানুষের মধ্যে ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে চান।
বক্তব্যের শুরুতেই সাকিব নি🐎জের জন্মদিন, রমজানের শুরু আর ফাউন্ডেশনের পথচলা একদিনে শুরু হওয়াতে দিনটিকে নিজের জন্য বিশেষ ব🗹লে আখ্যা দেন।
সাকিব আরও বলেন, “যাদের ক্যান্সারের চি🦹কিৎসা করার সামর্থ্য নেই সাকিব আল হাসান ক্যান𒉰্সার ফাউন্ডেশন তাদের জন্য কাজ করতে চায়। আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটি ক্যান্সার হাসপাতাল করা যেখানে পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। তার আগে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের সচেতনা বাড়াতে।”
সাকিবের বক্তব্যের মাঝে তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত ✅হয়ে শিশিরের বাবা ও মা মারা গি♊য়েছেন। ফলে তিনি তার বার্তায় কিছুটা আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন এক পর্যায়ে। ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনাতা বাড়ানোর ব্যাপারে তাগিদ দেন তিনি।
শুধু সাকিব নয়, এই ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম, সোহরাওয়া🍌র্দী শুভ। তারা প্রত্যেকে এই ফাউন্ডেশনের জন্য সবার 🌄দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন।