নেইমার সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে দুই বছরের জন্য গিয়েছেন। কিন্তু ৩১ বছর বয়সে ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে তিনি কেন সৌদি লিগে গেলেন সেটা নিয়ে হচ্ছিল সমালোচনা। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) আল হিলালের সঙ্গে চুক্তির অনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। এরপর তিনি কেন সৌদিতে এসেছেন তা নিয়ে মুখ খুললেন। তিনি সৌদি আরবে এসেছেন ইতিহাস গড়তে। এখান কার ফুটবল🃏কে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয় ক্লাব টার সঙ্গে চুক্তি সই করে ফেলেছেন। দুই মৌসুমের জন্য তিনি ৯ কোটি ইউরোর বিনিময়ে আল হিলালে যাচ্ছেন্। নেইমার বেতন বোনাসের সঙ্গে আয় করবেন বছরে ১৫ কোটি ইউরো। যেটা তার পিএসজিতে আয়ের🌃 প্রায় ছয়গুণ। পিএসজিতে
তিনি বেতন পেতেন বছরে আড়াই কোটি ইউরো। এমটাই নিশ্চিত করেছেন বিবিসি। মঙ্গলবার চুক্তি শেষে ক্লাবের টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে নেইমার বলেছেন, “আমি সৌদি আরবে আছি। আমি আল হিলালি।”
এছাড়াও সাবেক পিএসজি খেলোয়াড় সৌদি আরবে আসার কারণ ব্যখ্যা করেছেন তিনি। নেইমার বলেন, “আমি ইউরোপে অনেক কিছু অর্জন করেছি এ🃏বং দারুণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কিন্তু আমার সবসময় লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক খেলোয়াড় হওয়া এবং নতুন নতুন জায়গায় নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। আমি ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস গড়তেই সৌদিতে যাচ্ছি এবং সৌদি প্রো লিগে এখন অনেক শক্তিশালী এবং অনেক দারুণ খেলোয়াড় সেখানে খেলছে।”
নেইমার ২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সেফার ২২২ মিল𝓡িয়ন ইউরোতে বার্সা থেকে পিএসজিতে এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত যেই ট্রান্সফারে এই ফুটবলার বিশ্বের সব থে𝔉কে দামি খেলোয়াড়। পিএসজিতে ১৭৮ ম্যাচে গোল করেছেন ১১৮ টি। ফরাসি ক্লাবটার সঙ্গে ছয় মৌসুম পার করলেও তাদের স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনে দিতে পারেননি। তবে ক্লাব টার হয়ে ১৩ টি শিরোপা জিতেছেন।
নে🐷ইমারকে পেয়ে আল হিলালের চেয়ারম্যা ফাহাদ বিন সাদ আনন্দে ভাসছেন। সাদ বলেন, ”নেইমার বৈশ্বিক তারকা, সে যেখানেই খেলেছে, সেখানেই সমর্থকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছেন। তার দিকেই সবাই তাকিয়ে থাকে এবং সে সব সময় এর রেসপন্সও করেছে। আমরা তাকে পেয়ে আনন্দিত।”