সাকিব আল হাসান। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের ক্রিকেটামোদীরাও তাকে বেশ ভালোভাবেই চেনে ও জানে। যে সৌভাগ্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রেসিডেন্ট অথবা রাজা-রানিদের কপালেও জোটে না। হয়তো বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের অবস্থান স্বয়ং সাকিবও ভালো করে জানেন না। জানলে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত গণহত্যা, যা বাংলাদেশে সংগঠিত হলো, তাতে নিরব থাকতে পারতেন না। সাকিব কি জানেন, বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী- এমপিদের তুলনায় অনেক উচ্চতায় তার অবস্থান? সাকিব কি 𓆏জানেন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমা পাওয়ায় তার নাম ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে সম্মানের সঙ্গে? যদি এসব জানতেন, তাহলে তিনি স্মরণকালের নৃশংস গণহত্যার ঘটনায় নিরব থাকতে পারতেন না। তিনি কি জানেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কোন এমপিই এখন সামনে নেই এক তিনি ছাড়া? সাকিব কিন্তু মাঠে নানতে যাচ্ছেন আজ বুধবার, স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলতে। যদি সবই বোঝেন, তাহলে তাকে বিশাল দায়িত্ব নিতে হবে। সে দায়িত্ব হলো, দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশের সাফল্য পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে তাকে, দলের খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ, কাগজে-কলমে নাজমুল হোসেন শান্ত টাইগারদের অধিনায়ক। তবে নিজে ভালো খেলে দলকে সঠিক জায়গায় নিতে হবে সাকিবকেই। সাকিব যদি তার অলরাউন্ডিং পারফর্ম দেখিয়ে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ হয়তো ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে তার নীরব ভূমিকার কথা ভুলে যাবেন। তাই সিরিজটি আসলে সাকিবের জন্য বড় চ্যালেন্জ বলেই মনে হচ্ছে।