একসময় হকি ছিল ফুটবলের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা জনপ্রিয় খেল🦄া। আর সম্ভাবনার বিচারে ফুটবল- ক্রিকেটকে ছাড়িয়ে হকি ছিল এক নম্বরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো সেইসব সোনালি ইতিহাস জানে🃏ই না। যুব হকি দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠায় হয়তো সেইসব কথা জানতে পারবে তারা।
১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ হকি। সেই আসরে গ্রুপপর্বের এক ম্যাচে তৎকালীন বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী পাকিস্তান দেখেছিল বাংলাদেশের হকি নৈপূণ্য। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের আক্রমণ সাহসের সঙ্গে প্রতিরোধ করে উল্টো তাদের রক্ষণভাগে হানা দেয়। খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ৯ মিনিট আগে কোনোমতে একটি গোল করে প🌼ূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় পাকিস্তান। এখন বাংলাদেশ সেই পাকিস্তানই শুধু নয় ভারত অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ম্যাচে হালি হালি গোল হজম করে।
যুবারা প্রমাণ করে দিয়েছে, বাংলাদেশ হকি থেকে একেবারে হারিয়ে যায়নি। সিনিয়র দল যেখানে এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না, সেখানে🌃 যুবারা বিশ্বকাপের টিকিট লাভ করেছ𝓡ে।
‘মৃতপ্রায়’ হকিতে হয়তো এবার নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে। ওমানের মাসকটে অনূর্ধ্ব-২১ যুব এশিয়া কাপ হকিতে থাইল্যান্ডকে ৭-২ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজ🌳িত করে বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। যা বাংলাদেশের হকির ইতিহাসে যে কোনো লেভেꦉলে এই প্রথম।
২০২৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপে এশিয়া থেকে সাত দল অংশগ্রহণ করবে। স্বাগতিক ভারত সরাসরি খেলবে। বাকি ছয় দেশ চলমান জুনিয়র এশিয়া কাপ থেকে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ ‘বি’ গ্র꧂ুপের তৃতীয় হয়ে গত ৩ ডিসেম্বর ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দলꦿ থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচের জন্য। থাইল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নিশ্চিত করেছে এবং বিশ্বকাপও নিশ্চিত হয়েছে।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে জয় প্রথম গোল করেন বাংলাদেশ দলের হয়ে (১-০)। ৬ মিনিটের সময় পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আমিরুল ইসলাম (২-০)। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে 🉐আব্দুল্লাহ এক গোল করেন (৩-০)। এই কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে থাইল্যান্ড একটি গোল শোধ করে (১-৩)। তৃতীয় কোয়ার্টারে মোহাম্মদ হাসান রিভার্স হিটে গোল করে বাংলাদেশের ব্যবধান বাড়ান (৪-১)। এই কোয়ার্টারে খান ও জয় আরও দুটি গোল করেন (৬-১)। চতুর্থ 🤡কোয়ার্টারে আব্দুল্লাহ গোল করলে বিশাল জয় নিশ্চিত হয় লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের (৭-১)। ততে শেষ কোয়ার্টারে থাইল্যান্ড আরেকটি গোল পরিশোধ করে (২-৭) ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।
টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় দিয়ে লাল-সবুজ প্রতি♔নিধিরা শুরু করে নিজেদের মিশন। যদিও পরের ম্যাচেই হকির পরাশক্তি পাকিস্তানের কাছে ০-৬ গোলে হে♛রে যায়। তবে গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে চীনের বিপক্ষে ছ𝄹িল নাটকীয় এক ড্র। বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে সেই ম্যাচের সুবাদে। তাতে সমীকরণ চূড়ান্ত হয়, থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেই বিশ্বকাপে উঠবে বাংলাদেশ। সেটাই হলো শᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেষ পর্যন্ত। সেইসঙ্গে হকিতে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ যুব দল।