টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলছে, সারা বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা অনেক। ১৯৭১ সালে জন্ম নিলেও ওয়ানডে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ দিয়ে। আর টি-টোয়েন্টি শুরু হয়েছে মাত্র দুই দশক আগে। আর ১৮৭৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের যাত্রা হলেও এখন পর্যন্ত লংগার ভার্সনের এই ফরম্যাটে খেলা দেশের সংখ্যা মাত্র ১২টি। অথচ, এখনই টেস্ট খেলুড়💮ে দলগুলোকে দুই স্তরে ভাগ করার কথা আলোচনায় ♍এসেছে। নতুন টেস্ট কাঠামো নিয়ে তাই মুমিনুল হক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া। আইসিসি প্রেসিডেন্ট জয় শাহের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মাইক বা♌ইর্ড এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রিচার্ড থম্পসন। আর এই তিনজনের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়টাও সবারই জানা। আল▨াপ হবে দ্বি-স্তরের টেস্ট কাঠামো নিয়ে।
নতুন এই কাঠামোতে প্রথম ভাগে থাকবে ক্রিকেটের তিন মোড়ল দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। সঙ্গে যোগ দেবে আরও চার দেশ পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নি🌺উজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। আর অন্যপাশে রাখা হচ্ছে ৫ দেশ। যেখা🌟নে সবচেয়ে বড় নামটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশ। এর বাইরে আছে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড।
এমন এক কাঠামোতে প্রথম ভাগে থাকা দলগুলো পাবে বড় রকমের বাণিজ্যিক সুবিধা। বিপরীতে দ্বিতীয় ভাগে থাকা দলগুলোর সামনে কমে আসবে টেস্টে ভালো করার সুযোগ। কমে যাবে ম্যাচের সংখ্যা। পুরো বিষয়টিকেই এক শব্দে হতাশাজনক বললেন𓆉 বাংলাদেশের টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক ম🏅ুমিনুল।
ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুরো বিষয়টি নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক। তার ভাষ্য, ‘সত্যি বলতে আমি কা✱উকে ছোট করছি না, তবে আমি নিশ্চিত না নিচের বিভাগে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। আমি এও জানি না, দ্বিতীয় ভাগে ভালো ফল করলে আমাদের প্রথম ভাগে নিয়ে যাওয়া হবে কি না।’
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া ১২ দলের মাঝে এমন বিভক্তির মূল কারণ আর্থিক ইস্যু। সাম্প্রতিক সমꦬয়ে কেবল ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডই নিজেদের মাটিতে টেস্ট আয়োজন করে লাভের মুখ দেখেছে। সেটারই সুযোগ নিতে চাইছে তারা।
তবে এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল। ‘আমার মনে হয় টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা 👍কমে আসবে। আর আমি মনে করি না, বিষয়টা ভালো হবে আমাদের জন্য। সত্যি বলতে আমারা যদি ভালো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ না পাই আমাদের নিজেদের খেলার উন্নতি হবে না। আর সবসময় নিজেদের মধ্যে খেলে, বড় এবং শক্ত দলগুলোর বিপক্ষে না খেললে আপনি সেই একই জায়গায় আটকেဣ থাকবেন।’
মুমিনুলের মতে, ‘টেস্ট সংখ্যা যখন কমে আসবে, 🐈তখন টেস্ট ম্যাচের প্রতি মূল্যায়নဣটাও কমতে শুরু করবে। আর খেলোয়াড়রাও যখন সাদা বলের ক্রিকেটে আগ্রহী হবে, তখন অবস্থা হবে আরও শোচনীয়।’