ছিনতাই প্রতিরোধে নগরবাসীর ‘মোবাইল-মানিব্যাগ’ ন🌱িজ দায়িত্বে রেখে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, “আমার অফিসারদের কাছে বড় অস্ত্র থাকে, বুট পরা, ইউনিফর্ম পরা থাকে। ছিনতাইকারী থাকে খালি পায়ে বা একটা কেডস পরা। তার সাথে দৌড়ে পারাটা 🔴অনেক কঠিন।”
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতি♛থির বক্তব🍒্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশই মাদকাসꦑক্ত অল্প বয়সের ছেলে। ১৫ থেকে ২২ বছরের ছেলেরা মাদকে আসক্ত হয়ে এই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কেউ বাসে বা প্রাইভেটকারে বসে কথা বলার সময় ওরা মোবাইল নিয়ে দৌড় দেয়। তখন তাদের হাতেনাতে ধরা অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমাদের অফিসারদের কাছে বড় অস্ত্র 🤡থাকে, বুট ও ইউনিফর্ম পরা থাকে। আর ছিনতাইকারী থাকে খালি পায়ে বা কেডস পরা। তার সঙ্গে দৌড়ে পারাটা অনেক কঠিন।
ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, আপনাদের মোবাইল, মানিব্যাগ, পার্স বা হ্যান্ডব্যাগ নিজের নির๊াপত্তায় ভালোভাবে রাখার চেষ্টা করেন। আমরা ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছি। দিনে ও রাতে পেট্রোল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ডিবিকেও এ কাজে লিপ্ত করেছি। গত এক সপ্তাহের তথ্য অনুযায়ী আগের তুলনায় ছিনতাই কমেছে। আশা করছি এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবো।
এ সময় ♍তিনি দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ না করে খোলা মাঠ বা অডিটরিয়ামে সভা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইদানীং বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় ছোটখাটো দাবি আদায়ে রাস্তা বেছে নেয়। তারা মনে করে রাস্তা দখলে নিলেই তাদের দাবি আদায় হবে। ফলে ঢাকা শহরের ভঙ্গুর ট্রাফিক ব্যবস্থা 🎐আরও নাজুক অবস্থায় পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় কেটে যায়। বিশেষ করে মিরপুর, এয়ারপোর্ট, রামপুরা রোডে বেশি সমস্যা দেখা দেয়।
দাবিদাওয়ার বিষয়ে খোলামাঠ ক💯িংবা সভাস্থল বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় উত্তর দক্ষিণের রাস্ত♔া খুবই কম। একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সব কিছু থেমে যায়। আপনারা দাবি আদায়ের বিষয়ে খোলামাঠ, অডিটোরিয়াম বেছে নিন। দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডেকে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করুন। ঢাকাবাসীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আর ভঙ্গুর করবেন না।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিল; তবে সেগুলো থেকে উতরে আসার চেষ্টা চলছে। গত ♔১৫ বছরের আচরণ থেকে বের হতে চায় পুলিশ। একসঙ্গে ৪০ হাজার পুলিশকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।