অনেক সময় মাঠের রেফারিদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে না বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব। আর তাই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর প্রযুক্তি আনা হয়েছিল ফুটবল মাঠে নিরপেক্ষ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য । কিন্তু সমাধানের সেই অস্ত্র নিজেই যেন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে 📖এবার ভিএআর বাতিলে ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উলভস। পরবর্তী মৌসুমেই যেন 🧸এই প্রযুক্তি তুলে নেওয়া হয়– এ নিয়ে তারা জুন মাসে বার্ষিক সভায় ভোটের আয়োজন করবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভিএআর সমস্যার সমাধান দিতে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে উলভস। এ নিয়ে ৬ জুন ২০ ক্লাবের উপস্থিতিতে ভোট হতে পারে বলে জানিয়ไেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ফুটবলে🌌 নতুনত্ব আনা প্রযুক্তিটি বাতিলে যৌক্তিকতা দেখিয়ে ক্লাবটি জানিয়েছে— উলভসের ‘দৃঢ় বিশ্বাস ছিল’ ভিএআরে। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই প্রযুক্তির কারণে ফুটবল ও ভক্তদের সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ফুটবলাঙ্গনে।
এর আগে ক্লাব, সমর্থক, রেফারি হতে শুরু করে সাধারণ দর্শক—সবার কাছে রেফারির সিদ্ধান্ত যতটা সম্ভব গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ফুটবলের আইন ও বিধি প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (𒊎আইএফএবি) এটিকে ফুটবল আইনে যুক্ত করে ২০১৮ সালে।
কিন্তু অর্ধযুগের পথচলায় ভিএআরের আওতা ও ব্যবহার বাড়লেও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক কমেনি। বরং ভিএআর সংযোজনের পর ভুলের সংখ্🐻যা যতটা না কমেছে, তার চেয়ে বেশি এর ভুল ও অসংগতি নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে। বেশিরভাগ ঘটনাতেই সমর্থকরা রেফারিদের বিশ্বাস করেন না, আর কোচ এবং খেলোয়াড়রাও বুঝতে পারেন না কোন সিদ্ধান্তটা কেন নেไওয়া হয়েছে।
এদিকে, কোনো নিয়ম পরিবর্তনে 💙দুই–তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হয় ইপিএলে। ফলে ২০ ক্꧂লাবের মধ্যে অন্তত ১৪টির ভোট লাগবে ওই মতামতের পক্ষে।