সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলল আফগানিস্তান। আর দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্দান্ত খেলেও কখনো ফাইনাল খেলতে পারেনি। এবার তাদের সেই💮 দুঃখ ঘুচল। প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আফগান রূপকথা
দুর্দান্ত, দুর্দমন♎ীয়, ঐতিহাসিক- আফগানিস্তানকে এখন যে বিশেষণেই বিশেষায়িত করা হোক না কেন, সেটাই বোধ হয় কম হয়ে যাবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে রশিদ খানের দল। সেটাও আবার এমন এক গ্রুপ থেকে, যেখানে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষ ছিল। অবশ্য ভারত তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আগেই। লড়াইটা ছিল অস্ট্র💙েলিয়া আর আফগানিস্তানের মধ্যে।
বাংলাদেশকে ১০৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া দুই দলকেই বাড়ি পাঠিয়ে দিল আফগানিস্তান। সুপার এইটে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে শেষ হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৮ রানের জয়ে আফগানিস্তান ইতিহাস গড়ে উঠল শেষ চারে। ২০০০ সালে পূর্ণ সদস্য দেশ হওয়া বাংলাদেশ যেখানে সুপার এইটে উঠেই বোনাস মানছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান প্রথমবারের মতো উঠে সেমিফাইনালে!
আফগানিস্তান ফেটে পড়ল উল্লা🧸সে। যে উল্লাস তাদেরই মানায়।
৩২ বছরের দুঃখ ঘুচল দক্ষিণ আফ্রিকার
১৯৯২ সাল থেকে চেষ্টার পর এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে কেউ কেউ একটি🦩 ব্যাপার আন্দাজ করে নিয়েছিলেন। একদিকে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে উঠে না আসা আফগানিস্তান, অন্যদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাধিকবার পোড় খাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি এমন বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারে, তবে তাদেরও ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ আছে। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা তুলনামূলক শক্তিশালী দল হলেও অতীতে সেমিফাইনালে এসে ভেঙে পড়েছে।
কিন্তু ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ঘটল ঠিক উল্টোটা। সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সুযোগে ৯ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো🐼 উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসির ইভেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।