‘কাজী আনোয়ার হোসেন একটি প্রজন্ম তৈরি করে গিয়💫েছেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি তখন স্কুলে পড়ি। আমার কয়েকজন বন্ধু ছিল। তার মধ্যে একজন ছিল একটি টং দোকানদার। দোকানে থাকত সিগারেট, কয়েক পদের বিস্কুট, কেরোসিন ইত্যাদি। সেই ছেলেটি দোকানদারি করত আর সারা দিন ধ্যানমগ্ন হয়ে সেবা প্রকাশনীর বই পড়ত। বই পড়তে পড়তে প্রায় অশিক্ষিত মানুষটিও শিক্ষিত হয়ে উঠেছিল। তার আচার আচরণে শিক্ষিতের ছোঁয়া ছিল, যদিও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব কম ছিল। সেই সেবা প্রকাশনীর প্রাণপুরুষ আর পাঠকের কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই। কত হাজার লক্ষ কিশোর-কিশোরীকে বইমꦓুখী করেছে তার কোনো হিসাব নেই।’
‘কাজী আনোয়ার হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত দাবাড়ু কাজী মোতাহার হোসেনের সন্তান। কাজী মোতাহার হোসেন পদার্থবিজ্ঞানে বিএ এমএ করেছেন। খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম হলে আমাদের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ডেমোন্সট্রেটর হিসাবে প্রথমে নিয়োগ পান, যেখানে শিক্ষক হিসাবে ছিলেন সত্যেন বোস। সত্যেন ওনাকে প্রচণ্ড পছন্দ করতেন। সত্যেন বোসই ওনাকে পরিসংখ্যানে পড়তে বলেন এবং ওনার উপদেশেই কলকাতায় পরিসংখ্যান পড়তে যান। ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানের ওপর ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিসটিকাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং খুলেন। কাজী মোতাহার হোসেনের ৪ ছেলে ꩵএবং ৭ কন্যা। কন্যাদের মধ্যে একজন হলেন সন্জীদা খাতুন, যিনি ছায়ানটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে বাঙালি সংস্কৃতি ছড়িয়🤡েছেন। আরেক কন্যা ফাহমিদা খাতুনও প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। দারুণ একটি পরিবার।’