ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন অব𒉰সরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আজ সংবাদে। পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা গাফ্ফারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি অবসরের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক প্রকল্পে নিজে থাকার জন্য একটি বাড়ি বানাচ্ছিলেন পাশেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপকই অবসরের পর সবুজের মাঝে নিজের একটি বাড়িতে থাকার স্বপ্ন নিয়ে প্লট কিনেন। অবসরের পর পেনশনের যেই টাকা পান সেটা দিয়ে ওই বয়সে বাড়ি বানাতে গিয়ে আরো দ্রুত বৃদ্ধ হয়ে যান কারণ এই দেশে বাড়ি বানাতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিক অন্যান্যদের পেছনে কি পরিমান লেগে থাকতে হয় তা কেবল ভুক্তভুগিই জানে। বাড়ি বানাতে বানাতে মৃত্যুর দুয়ারেই আমরা পৌঁছে যাই। পুলিশের ভাষ্য মতে উনি একা ভাড়া বাড়িতে থেকে বাড়ি বানাতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের হাতেই খুন হন। টাকা হাতিয়ে নিতে একটা মানুষকে এইভাবে খুন করে ফেলল।
আরেক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ শফি যিনি তার জীবনের সকল উপার্জন বিলিয়ে নিজ বিভাগের ভবন নির্মানের জন্য দান করে শিক্ষকতা পেশাকে মহিমান্বিত করেছেন তিনি আজ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি। এই মহান সাদামনের মানুষটির চিকি🥀ৎসার জন্য সিএমএইচ, স্কয়ার কিংবা বড় কোন হাসপাতালে জায়গা হয়নি। আমরা এমনই। চোর বাটপার, লুটেরাই এই দেশের সকল সেরা সুবিধা পাবে।
আরেক অবসরপ্র🔯াপ্ত অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম বেশ আগের এক বিস্ফোরক মামলায় আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। উনার বয়স, জেন্ডার এবং প্রফেশন ইত্যাদি বিবেচনায় জামিনযোগ্য ছিলেন। একই মামলায় সরকারি দলের কোন শিক্ষকের কথা ভাবুন। আদালত কি তাকে কারাগারে পাঠাতো? যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তখন উনি শিক্ষক হয়েও অতি রাজনীতি করতেন যা আমার একদম পছন্দের না। কিন্তু সেটা ভিন্ন বিষয়। এইরকম একজন প্রবীণ নারী শিক্ষককে আদালত কারাগারে পাঠিয়ে দিল? উনি কি পালিয়ে যেতেন? এইরকম একটি ঘটনার নিন্দা করতে হলে কি আমাদের উনার রাজনীতি করতে হবে? অথচ আমার অভিজ্ঞতা বলে আমাদের শিক্ষক সমিতি এই ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে কোন বিবৃতি দিবে না।
এইগুলোই হলোᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ বর্তমান বাংলাদেশের নিত্যদিনের ঘটনাবলী।