এত দিনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। এত দিনে আমাদের ইউজিসি একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে অনেকবার লিখেছিলাম। চিন্তাগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ দেখে ভালো লাগছে। আমরা ৩ বছরের অনার্স এবং ১ বছরে মাস্টার্স অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৪ বছর মেয়াদের পড়াশোনা করেছি। তারপর দুই হাজার সালের শুরুর দিকে ৪ বছরের অনার্স আর ১ বছরের মাস্টার্স শুরু হলো। কথা ছিল ৪ বছরের অনার্সই হবে টার্মিনাল ডিগ্রি। মাস্টার্স শুধু তারাই করবে যারা একাডেমিয়াতে থাকবে অর্থাৎ শিক্ষা ও গবেষণায় থাকবে। কিন্তু তখন ৪+১ চালু করার আগে এমপ্লয়ারদের সাথে যোগাযোগ না করেই এই বিধান চালু করায় চাকুরির শর্তে মাস্টার্স ডিগ্রি চাওয়া অব্যা🃏হত থাকে। ফলে বাস্তবে ৪ বছরের অ🌌নার্স আর টার্মিনাল ডিগ্রি হলো না।
এই ৩+১ থেকে ৪+১ যাওয়ায় হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সুযোগ পায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুযোগ বাড়েনি। ফলে হলে হলে গণরুম সৃষ্টি হতে থা𝄹কে। যে সময় শিক্ষার্থীরা চাকুরিতে প্রবেশ করতে পারত সেই সময় শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১ বছর পড়াশোনা করে। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি অধিকাংশ ছাত্রই মোটিভেটেড না। শুধু শুধু হলে থাকার জন্য বা চাকুরিতে যেহেতু মাস্টার্স চায় তাই জোর করে কেবল একটি ডিগ্রির জন্য মাস্টার্স করে।
এখন যদি ইউজিসির এই শুভবুদ্ধির উদয়ের ফলে আমরা মাস্টার্সে একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ছাত্র ভর্তি করি এবং তার জন্য উন্মুক্ত ভর্তি পরীক্ষা নেই, তাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও যাদের যোগ্যতা আছে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কাঙ্ক্ষিত ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়ার সুযোগ পেত। বর্তমানে যারা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অনার্সে ভর্তি হয় তাদের সবাইকে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। এর ফলে অনার্সে ভালো ফলাফল করার জন্য কোনো অতিরিক্ত তাগিদ অনুভব করে না। মাস্টার্সে সিট সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়ে নতুন করে উন্মুক্ত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করালে এখন যারা অনার্স করছে তারাও অনার্সে ভালো করার জন্য একটা চাপ অনুভব করত, যা ভালো ক𒐪রার জন্য খুব জরুরি।