আমাদের দেশে অনেক আদিবাসী আছেন, তাদের বলা হয়ে থাকে ক্ষুদ্র নৃ❀গোষ্ঠী। তাদের মধ্যেও ঐতিহ্যিকভাবে এই বর্ষবরণের তৎপরতা চলে। এটা শুধু পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যেই নয়, সমতলেও আছে। আবার সমুদ্ꩲর উপকূলের জনগোষ্ঠীর মধ্যেও আছে। তারা মূলত কৃষিকাজের সঙ্গে যে অবসর মুহূর্তটা থাকে, সেই মুহূর্তটাকে উদযাপন করা জন্য এই উৎসবগুলো করে।
আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা, মারমা বা অন্যান্য জনগোষ্ঠীরা মহাসমারোহে এই দিনটি উদ্যাপন করে। এই সময় তারা প্রকৃতির ভেতর ফিরে যায়। যেমন কোনো ঝর্ণার পাশে কিংবা নদীর পꦿাশে গিয়ে তারা ফুল ভাসিয়ে দেয়, সেখানে তারা স্নান করে, বাড়ির উঠোনে গান করে এবং ফসল নিয়ে ব🐠িভিন্ন ধরনের আনন্দ অনুষ্ঠানও করে। একই সঙ্গে সমতলে আদিবাসীরা যেমন সাওতাঁল, হাজং এরাও এ ধরনের উৎসব উদযাপন করে।
কিন্তু আমরা নাগরিক পরিমণ্ডলে খণ্ডিতভাবে বৈশাখকে দেখি। আমরা মনে করি, ঢাকাজুড়ে যে বৈশাখ উদযাপন হচ্ছে, যা ছায়ানট করছে বা চারুকলা করছে বা অন্যান্য সংগঠন যেভাবে বৈশাখ পালন করছে, সেগুলোই বৈশাখী উৎসব🌊। কিন্তু আমাদের ঢাকার বাইরে যে অসংখ্য জনগোষ্ঠী আছে, অসংখ্য বৈচিত্র্য আছে, সেই বৈচিত্র্যের মধ্যেও বৈশাখকে উদযাপন হয়, সেটা হয়তো বৈশাখ নামে নয়, বরং অন্য নামে উদযাপন হয়, সেটাও আমাদের চিন্তায় রাখা উচিত।
আমাদের দেশে যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে, যে বৈচিত্র্য আছে, সেটাকেও স্বীকার করা উচিত। এই বৈচিত্র্যকে শুধু স্বীকার করলেই হবে না, এটি🥂 আমাদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপনযোগ্য। কিন্তু আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।
আমাদের আকাঙ্ক্ষা থাকবে যে, ভবিষ্যতে সরকার বা কোনো সংগঠন বা কোনো চ্যানেল যদি উদ্যোগী হয়ে বাঙালির উৎসবের পাশাপাশি, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বৈশাখ উদযাপনকে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রচার করে, তাহলে চমৎকার🐓 হয়। এর মাধ্যমে বিদেশি 𝔉পর্যটকদেরও কিন্তু আকর্ষণ করা যায়। এতে দেশও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।
লেখক: লোকসংস্কৃতি গবেষক