মৌসুমের শুরু থেকেই উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে তর🅠মুজ। রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকায় রসাল এই ফলটির দাম কোনোভাবেই কমাচ্ছিলেন না ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে অনেকটাই কমেছে তরমুজের দাম। বুধবারও (২০ মার্চ) সারা দিন ছিল মেঘাচ্ছন্ন। এমন আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে তরমুজের বাজারে। প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছ🅺ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। দু-দিন আগেও যা ছিল ৮০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুরুতে তরমুজের দাম বাড়লেও এখন দিন দিন কমে যাচ্ছে। একদিকে বাজারে তরমুজের সরবরাহ বাড়ছে, অন্যদিকে মৌসুম খারাপ হওয়া♛য় এর প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়। তাই আগে যেমন ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় তরমুজ মজুত করতেন, এখন সেই তুলনায় মজুত কমেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বৈশাখ মাস খুব সন্নিকটে, তাই এখন আর মৌসুম আমাদের অনুকূলে নেই। তাই এখন তরমুজের ব্যবসা করে খুব একটা ಌবেশি সুবিধা করা যাবে না। যারা বেশি তরমুজ মজুত করে রেখেছিল, তারা এখন কম দামে বেশি বেশি বিক্রি করা চেষ্টা করছে। তাই যারা বেশি দামে তর🧸মুজ বিক্রি করছে তাদের ব্যবসায় ক্রেতার আগ্রহ কমেছে।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রান্তিক পর্যায় থেকে কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী তরমুজ পিস হিসেবে কি𓆏নে এনে আমাদের কাছে মিথ্যা তথ্য দেয়। যেন কেজি হিসেবে বিক্রি করতে পারে। আমরাও ভালো লাভের আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়ি। কারণ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ঢাকায় ব্যবসা করা খুবই কঠিন।”
বৃষ্টিতে একদিনের ব্যব🌠ধানে তরমুজের কেজি ১০ টাকা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তাদের ভাষ্য, তরমুজের সিন্ডিকেট রোধে য💞েখানে সরকার কিছু করতে পারলো না, সেখানে একদিনের বৃষ্টি সে কাজটা করে দিয়েছে।
রাজধানীর বনানী কাঁচা বাজারে পরিবারের জন্য তিনটি তরমুজ কিনেছেন রকিবুল ইসলাম। আগে ৮০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি হলেও💧 এখন ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে তরমুজ কেনেন তিনি। এছাড়াও ব্যবসায়ীদে💞র সিন্ডিকেট বন্ধে তরমুজ বয়কট করলে দাম আরও কমবে বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদকের সঙ্গে এক আলাপকালে রকিবুল ইসলাম বলেন, “রমজানের শুরুতে ব্যবসায়ীদের দামের গরমে তরমুজ কেনা যায়নি। যে যার মতো পেরেছে বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করেছে। পিস হিসেবে তরমুজ ক্রয় করলেও কেজি ꦫহিসেবে বিক্রি করে ভালোই লাভ করেছে। অথচ কয়েক দিনের ব্যবধানে ৮০-৯০ টাকা কেজি তরমুজ এখন ৫০ টাকায় নেমেছে। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে গতকাল বৃষ্টি নেমে আসায় অনেক ব্যবসায়ীর তরমুজ পচেও গেছে শুনেছি। আর টানা দু-দিন বৃষ্টি হলে তরমুজ 🌺মানুষ কেনা তো দূরের কথা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখবে না।”