কলকাতায় পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদ☂স্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সেই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এমপি আজিমের ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশဣীদার আক্তারুজ্জামান শাহীন। ভারতীয় পুলিশ বলছে, সোনা চোরাচালনের টাকা ভাগাভাগি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হতে পারেন আনোয়ারুল আজিম।
আনোয়ারুল আজিমের পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজার এলাকায়। তিনি উপজ✅েলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ২০১৪, ২০১৮ ও𓃲 ২০২৪ সালে টানা তিনবার তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তবে তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এক সময় দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সীমান্তপথে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের হোতা হিসেবেও পুলিশের তালিকায় তার নাম ছিল। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র-বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল আজিমকে ধরিয়ে দিতে ২০০৭ সালে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে ♓রেড নোটিশ জারি করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দেশের আদালতেও তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এরপরও তিনি পলাতক থাকায় ২০০৮ সালে চুয়াডাঙ্গার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হুন্ডি ব্যবসা, সোনা চোরাচালানসহ༒ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি ছিল ২০০৮ সাল পর্যন্ত।
আনোয়ারুল আজিম ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দেন, তꦑাতে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মামলাগুলোর কোনোটিতে খালাস, কোনোটিতে অব্যাহতি পান তিনি। হলফনামায় সেটিও উলꦑ্লেখ করেছেন তিনি।
আনোয়ারুল আজীমের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়েও নানা আলোচনা ছিল। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতা আবদুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আনোয়ারুল আজিম। সেই আবদুল মান্নান যখন ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন, তখন তাঁর সঙ্গে আনোয়ারুল আজিমও আওয়ামী লীগে আসেন।