• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন সেই বৈমানিক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন সেই বৈমানিক
পাইলট আসিম জাওয়াদ। ছবি : সংগৃহীত

বিমানবাহিনীর একটি💜 ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার♕ ঘটনায় সাহসিকতার পরিচয় দিলেন দুই বৈমানিক। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাইলটদের এ বীরত্বের কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (⛎আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে দুই বৈমানিক অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষ⛦তার 🐽সঙ্গে বিমানটি বিমানবন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হ🌞য়ে বৈমানিক মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান। 

আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বꦐিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ।

দুর্ঘটনার সময় তারা জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। এরপর বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের প্রচেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। দুজনের মধ্যে আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাঁ🎃কে বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জাওয়াদের বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া পৌর ভূমি অফিস এলাকায়।&nb﷽sp;

দুর্ঘটনার পর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা দেখা যায় বিলাপ করছেন জাওয়াদের মা নিলুফা আক্তার খানম। বলছেন, “আমি আছি অথচ আম🌜ার ছেলে নাই, এটা কেমন কথা! আমারে মাটি দিব আমার ছেলে। আর এহꦿন আমারে দিতে হইব তারে মাটি!”

আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। তার স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মেয়ের বয়স ছয় বছর। আর ছেলের এক বছর। স্ত্রী রিফাত অন্তরাসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকেন তারা। জাওয়াদের মা-বাবা থাকেন মানিকগঞ🍸্জে। মা নিলুফা আক্তার গতকাল বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ (গতকাল) এখন পর্যন্ত ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়🐎াদের ফোন?’

নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, ছোটবেলা থেকꦆে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সে স্বপ্নপূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ছিল মাত🌸্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে। আজ শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।

Link copied!