• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন সেই বৈমানিক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
প্রাণ দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন সেই বৈমানিক
পাইলট আসিম জাওয়াদ। ছবি : সংগৃহীত

বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-🌊১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান🎉 বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সাহসিকতার পরিচয় দিলেন দুই বৈমানিক। 

বৃহস্পতিဣবার (৯ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাইলটদের এ বীরত্বের কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)𒁃।

আইএস💜পিআর জানিয়েছে, প্রশিক💮্ষণ বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে দুই বৈমানিক অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি বিমানবন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বৈমানিক মু🔯হাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান।&n🐷bsp;

🧸আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্র🀅শিক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ।

দুর্ঘটনার সময় তারা জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। এরপর বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের প্রচেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। দুজনের মধ্যে আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাঁকে ಞবিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জাওয়♕াদের বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া পৌর ভূমি অফিস এলাকায়। 

দুর্ঘটনার পর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা দেখা যায় বিলাপ করছেন জাওয়াদের মা নিলুফা আক্তার খানম। বলছেন, “আমি আছি অথচ আমার ছেলে নাই, এটাℱ কেমন কথা! আমারে মাটি দিব 🐟আমার ছেলে। আর এহন আমারে দিতে হইব তারে মাটি!”

আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। তার স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মেয়ের বয়স ছয় 🐷বছর। আর ছেলের এক বছর। স্ত্রী রিফাত অন্তরাসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকেন তারা। জাওয়াদের মা-বাবা থাকেন মানিকগঞ্জে। মা নিলুফা আ﷽ক্তার গতকাল বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ (গতকাল) এখন পর্যন্ত ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন?’

নিহত জাওয়াদের বড় ম🌌ামা সুরুজ খান জানান, ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সে স্বপ্নপূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে। আজ শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগ🎉ঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।

Link copied!