• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রাথমিকে ২৫ শতাংশ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ খরচ বেড়েছে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
প্রাথমিকে ২৫ শতাংশ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ খরচ বেড়েছে

দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপ্রতি বছরে একটি পরিবারের ব্যয় হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। আর মাধ্যমিকে ২৭ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হচ্ছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ꦯপ্রাথমিকে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। আর এই🧸 ব্যয়ের বড় কারণ হলো কোচিং–প্রাইভেট এবং নোট গাইড।

বেসর♑কারি সংস্থাগ🌸ুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা: মহামারি উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

শনিবার (৩০ মার্চ🐷) এডুকেশন ওয়াচ–২০২৩ নামে এই গবেষণাܫ প্রতিবেদন নিয়ে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্রিফিং করা হয়।

প্রꦺতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জন্য বছরে গড়ে ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা খরচ হয়। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে খরচ কম। গ্রামে বছরে গড়ে ১০ হাজার ৬৩৭ এবং শহরে ১৮ হাজার ১৩২ টাকা খরচ হয়। গত বছরের (২০২৩) প্রথম ছয় মাসে এ খরচ ৮ হাজার ৬৪৭ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

সারা দেশের ৮ বিভাগের ১৬টি জেলার মধ্যে থেকে ২৬টি উপজেলা ও ৫টি সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণার জন্য বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থ🐭ী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা ও উপজেলা𝓰 প্রশাসনের কর্মকর্তা মিলিয়ে মোট ৭ হাজার ২২৫ জনের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি বছরে গড়ে খরচ হয় ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এর মধ্যে গ্রামে ২২ হাজার ৯০৯ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬৬২ টাকা ব্🍸যয় হয়। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এ খরচ অন্তত ২০ হাজার ৭১২ টাকা বা ৫১ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং গত ব🌠ছরের (২০২৩) জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তুলনামূলক উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ খরচের বড় অংশই চলে যায় টিউশনি বা কোচিং সেন্টারে। এ ছাড়া বাকি খরচ হয় ⛦গাইড বইসহ সহায়ক বিভিন্ন সামগ্রী, যাতায়াত, খাবার, শিক্ষা উপকরণ (বই, খাতা, কলম), স্কুলের বিভিন্ন ফি এবং এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজেꦿ।

এ বিষয়ে এডুকেশন ওয়াচ–২০২৩–এর মুখ্য গবেষক ড. মনজুর আহমদ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে খরচ বেড়েছে। প্রাথমিকে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক ৫১ শতাংꦆশ খরচ বেড়েছে। খরচ বেশি হচ্ছে কোচিং, টিউশনি ও গাইড বইয়ে।

গবেষণার তথ্য বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও মাধ্যমিকে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মহামারির পরে তাদের🐻 নতুন শ্রেণির পাঠ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছ🍨ে। কিন্তু প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী পাঠ বোঝার ক্ষেত্রে অসুবিধায় ছিল।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে তিন–চতুর্থাংশের বেশি শিক্ষার্থী প🏅্রাইভেট টিউটরের সহায়তা নিয়েছে বা কোচিং সেন্টারে গেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শি✃ক্ষায় এই নির্ভরতার হার ছিল যথাক্রমে ৯২ ও ৯৩ শতাংশ।

গবেষণার তথ্য বলছে, করোনা মহামারির কারণে দ্বিতীয় শ্রেণির ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ষষ্ঠ শ𓃲্রেণির ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। আর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বর্তমানে প্রাথমিক স্কুল বয়সী শিশুদের ৪১ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের ৪৯ শতাংশ কাজ বা শিশুশ্রমে নিয়োজিত আছে।

করোনা মহামারির কারণে বিদ্যালয় স্থানান্তরের বিষয়টিও গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বলা হয়, ২০২০ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদ্রাসায় স্থানান্তরের একটি প্রবণতা দেখা গেছে। মাধ্যমিক স্তরের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে এ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি (৬ দশমিক ৪ শতাংশ) ছিল। এর কারণ হিসেবে প্রায় দুই–তৃতীয়াংশ অভিভাবক ধর্মীয় কারণকে প্রধান বিবেচ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এক–পঞ্চমাংশ বলেছেন, মাদ্রাসা বাড়ির কাছে ও মহামারি চলাকালে মাদ্রাসা খোলা ছিল এবং মূলধারার স্কুলগুলো তখন বন্ধ ছিল।
 

Link copied!