• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ। ১৯৮৭ সালের এ দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত ✅যাক’ স্লোগান লিখে মিছিলের অগ্রভাগ⭕ে ছিলেন নূর হোসেন।

গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টের কাছে মিছিলে তা🌃কে গুলি করে হত্যা করে এরশাদের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রেরণাদায়ী ঘটনা।

দিবসটি উপলক্ষে বিভি♒ন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ কর𒈔েছে। 

রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক🐻 সংগঠনগুলো।

জানা গেছে, আজ সকালে রাজধানীর শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্ট) পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিচারণা করবে বিএনপি। সকাল ৮টায় একই স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বিভিন্ন 🥃রাজনৈতিক দল।

ঢাকার নারিন্দায় এক অটোরিকশা🌱চালকের ঘরে জন্ম নেওয়া নূর হোসেন ছিলেন যুবলীগের একꦛজন সক্রিয় কর্মী। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে নূর হোসেন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন।

জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন ১৯৮৭ সালের এই দিনে নূর হোসেন বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে বের হয়েছিলেন। সেদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল পল্টন এলাকার ‘জিরো পয়েন্ট’ অতিক্রম করার সময় পু♊লিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন নূর হোসেন ও যুবলীগ নেতা বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

নূর হোসেনের সেদিনের আত্মত্যাগ মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছিল। বুকে-পিঠের স্লোগানসংবলিত তাঁর শরীর হয়ে෴ উঠেছিল আন্দোলনের প্রতীক। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আরও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। নূর হোসেন শহীদ হওয়ার পর মাস না পেরোতেই ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এরশাদ। এর তিন মাস পর তিনি জাতীয় সংসদের আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন করেন। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বড় দলগুলো না নেওয়ায় ওই সংসদ রাজনৈতিক বৈধতা পায়নি।

এরশাদ এরপরও ক্ষমতায় টিকে ছিলেন পৌনে তিন বছর। ১৯৯০ সালে✤র ৬ ডিসেম্বর তাঁর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ঘটনাবহুল একটি দশক শেষ হয়। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়। বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। যে জায়গাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন নূর হোসেন, সেই জিরো পয়েন্ট এখন শহীদ নূর হোসেন চত্বর।

বিএনপি ꦓদিনটি পালন করে ‘ঐতিহাসিক ১০ নভেম্বর দিবস’ হ൲িসেবে। আর আওয়ামী লীগ দিনটি পালন করে আসছে ‘নূর হোসেন দিবস’ হিসেবে।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সেভাবে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করছে না। তবে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে ඣআজ রোববার বেলা তিনটায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতা-কর্মীদের জড়ো হয়ে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পোস্ট দিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আল𝐆ম এক ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, তারা আজ কোনো জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর অবস্থান🐟ের মুখোমুখি হতে হবে।

অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে আজ দুপুর⛎ ১২টায় ঢাকায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচির শিরোন🤪াম পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত।

শহীদ নূর হোসেন স্মরণে ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তব♐ে গণহত্যাকারী বা নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

Link copied!