প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্ট🍰ির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ২৪ মিনিটে দ্রুত বিচার আইন সংশোধনের বিল পাশ হয়েছে জাতীয় সংসদে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দ্রুত বিচার আইনটি এখন থেকে স্থায়ী আইন হিসেবে সংবি🌊ধিবদ্ধ হলো।
এর আগে ‘আইন–শৃঙ൩্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব এবং সংশোধনী প্রস্তাব🤪 উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নুসহ মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং হাফিজ উদ্দিন আহেম্মদ।
এর আগে ২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়𝄹ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় বিলের খসড়া অনুমোদনের পর আজ এ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হলো। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্যকোনো সংশোধনী আনা হয়নি।
২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত আইনটি করেছিল তখন আওয়ামী লীগ বলেছিল এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন বলে উল্লেখ করে বিল পꦰাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সং🍒সদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, “২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল তখন তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বলেছিল এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যেকোনো কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?”
মুজিবুল হক বলেন, “যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, স্থায়ীভাবে আইনটা করবেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন, তখন উদ্দেশ্যতো ভালো নাও থাকতে পারে। আপনারা কি এটা বলতে চান, বিএনপি যে আইনটা এনেছিল তা ভালো ছিল? এটাই আজকে স্বীকার 𒐪করুন।”
মুজিবুল আরও বলেন, “র্যাব গঠন করার সময় আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছিল। সে র্যাব এখনও টিকে আছে, তারা কাজ করছে। সরকারের কাছে অনুরোধ যদি প্রয়োজন পড়ে এক/দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু দ্রুত বিচার আইনটা স♉্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আপসোস করবেন।”
আইনটি নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল না বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীꦦ আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “সেসময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়, সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।”
পরে বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনার সুযোগ নিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “স্বরা🎃ষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা তার বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল। আপনি বলেছিলেন, অপপ্রয়োগ হয় কি না যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই, তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি না।”
পরে স্বরা🔜ষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, “আইনটি কখন আনা হয়েছিল, তা মুখ্য উদ্দܫেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।”