ঈদুল ফিতরের দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল রাজধানীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র জাতীয় চিড়িয়াখানায়। সাধারণত ঈদের দিন বা কোনো বিশেষ দিনে পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসেন লোকজ♉ন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের নামাজের পর থেকেই চিড়িয়াখানায় লোকেরে সমাগম বাড়তে থাকে। বিকেল হলে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর, যারা অভিভাবকদের🔯 সঙ্গে এসেছে। চিড়িয়াখানায় অবস্থিত বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে এসে তাদের ভিড় করতে দেখা যায়। তারা কৌতূহলী মন নিয়ে অভিভাবকদের কাছে পশু-পাখির নাম জানতে চায়। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে নিয়ে যান।
বাড্ডা থেকে আসা রফিকুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ঈদে এবার বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম। চিড়িয়াখানায় এত মানুষ♔ের ভিড়ে পরিবার নিয়ে আনন্দ উপভোগ করা সত্যিই অসাধারণ।”
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আমাদের দেশে এমন একটি চিড়িয়াখানা পেয়ে সত্যিই খুব ꦿগর্বিত। তবে কর্তৃপক্ষ পশু পাখিদের ঠিকমতো যত্ন নিলে প্রাণীদের শরীরের অবস্থা আরও ভালো হ💖বে।”
মোহাম্মদপুর থেকে আসার কাউসার বলেন, “রাজ🐽ধানীতে বিনোদনকেন্দ্রের সংকট। যেগুলো আছে তার মধ্যে চিড়িয়াখানা সেরা। ঈদ ছাড়া ছুটির🅰 দিনে ঘুরতে যাব, এমন ফাঁকা জায়গাও নেই। চিড়িয়াখানায় কম খরচে প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায়, আবার বিদেশি প্রাণীও দেখতে পাওয়া যায়। যেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো।”
ঈদ বিনোদনে দর্শনার্থীদের বিনোদনের অ♋ন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয় চিড়িয়াখানার বানর, ময়ূর, বাঘ, সিংহ, হরিণ ও জেব🌳্রার খাঁচা। বছরজুড়ে চিড়িয়াখানা জন্ম নেওয়া অসংখ্যা হরিণ শাবক দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।
ধানমন্ডি থেকে মা-বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন ৪ বছর বয়সী আফিফ। তার সঙ্গে কথা হয় সংবাদ প্✱রকাশের। শিশু আফিফ জানায়, বানর, ময়ূর, সিংহ দেখে তার অনেক ভালো লেগেছে।
এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ বন্যপ্রাণীর 🅺খাঁচায় সামনে নিরাপত্তাপ্রহরীর ব্যবস্থা করেছেন তারা।
জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কোনো প্রাণী আনা হয়নি। তবে এখানে জন্ম নেওয়া তিন বাঘ শাবকে এতদিন আমরা প্রশিক্ষণের মধ্যে রেখেছিলাম। এবার ঈদে সেই তিনটি বাঘের꧅ বাচ্চাকে দর্শনার্থীদের সামনে এনেছি। এছাড়া আমাদের চিড়িয়াখানায় ১৩৭ প্রজাতির তিন হাজার ২০০টির মতো প্রাণী আছে।”
রফিকুল ইসলাম তালুকদার আরও বলেন, “সাধারণত ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থী কম থাকে। তবে এ বছর চিত্র ভিন্ন। বিকেল তিনটা পর্যন্ত খবর পেয়েছ🏅ি প্রায় লাখের ওপর দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছেন। গত বছরে ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থী এসেছিল ৭০ হাজারের মতো। দ্বিতী꧃য় দিনে দর্শনার্থী ছিল দুই লাখ।”
জাতীয় চিড়িয়াখানায় রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া অন্যদিনে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থꦐাকে।