প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনꦕ, “সুদমুক্ত ঋণসহ চারটি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে চীন। অথচ ম♕ানসিকভাবে অসুস্থ একটি গোষ্ঠী চীন-ভারত সফর নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।”
রোববার (১৪ জুলাই) বি▨কেল ৪টায় গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, “দেশে এতো কাজ করার পরেও কেউ অন্ধ-বধির হলে কিছু বলার নেই।”
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও তাদের সমস্যার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে꧒ এর সমাধানে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন সরকারপ্রধান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে চীনের রাষ্ট্ꦅরপতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন বিষয়ে এক প্রশ্ন✃ের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত সরকারের কিছু করার নে👍ই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা নয়, সহিংসতা করলে ছাড় নয়।”
এর আগে তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে ♛১ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিং সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয় ও শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বဣিপক্ষীয় বৈঠক হয়। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২১ সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও চীন। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সাতটি ঘোষণাপত্র সই করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দুই দেশের সম্পর্ক ‘কৌ♏শলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি ছিল প্রথম চীন সফর। গত জুলাই ১০ স্থানীয় সময় রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।