কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। দেশ ছাড়ার আগে নিজের একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন শꩵেখ হাসিনা। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ﷽্টারে করে তারা রাজধানী ছেড়েছেন।
জানা গেছে, দেশে ছাড়ার𓆏 আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেই বৈঠক হয়েছে। তখনো আরও বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরি♌য়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। পদত্যাগ করতেও রাজি হননি। পরে পরিবারের স্বজনদের কথা মেনে পদত্যাগে রাজি হন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সামরিক হেলিকপ্টারে বোন রেহানাকে নিয়ে পালাতে বাধ্য হন হাসিনা।
তবে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক দিন আগে। আমরা কয়েকজন শুধু জানতাম, তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, সেটাই ছিল তার পরিকল্পনা। তবে যখন তারা ওই গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করল, তখন আমরা ভয়ে বললাম, আর সময় নেই। তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশের একটি সূত্র বলেছে, শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা এ সময় একসঙ্গে ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন দেশ ছেড়ে যাবেন। দুপুরের দিকে তারা ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন।
তখন তিনি জাতির উদ্দেশে একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখಌ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে 🦩পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। 𓆏তারপর তারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।