• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

প্রায় এক দশক পর ম🐭ালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটিই প্রথম বিদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম সফর বাংলাদেশে।

দেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম প্রধান গন্তব্য মালয়েশিয়া। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এর মধ্য๊ে শুধু ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গত মে পর্যন্ত প্রায় দুই বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।

নতুন বাংলাদেশে সফরে এসে সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমক নেওয়ার কথা জানালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন🎐্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রবেশের বিষয়ে অবিলম্বে মনোযোগ দেবে মালয়েশিয়া।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউন❀ূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আনোয়ার🅷 ইব্রাহিম।

এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্🍸য দিয়ে এগিয়েছি। আমাদের শ্রমিক দরকার। আর এসব শ্রমিক বাংলাদেশ কিংবা অন্য যেকোনো দেশেরই হোক না কেন, তাদের আধুনিক দাস হিসেবে বিবেচনা করা যাবেജ না।”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শ্রমিক ইস্যুতে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য দেশের মানুষের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়ে✱শিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।

প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশি🏅য়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা বলেন। তারা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকস্থলে যাওয়ার জন্য একই গাড়িতে উঠেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ- এই তিনটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়ো🅷গ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহায়তা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা হয় তাদের।

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছে। বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার বি♊ষয়টিও বিশেষভাবে উত্থাপন করা হয়।

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সফরটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক꧋্ষীয় সম্পর্ক গভীর এবং টেকসই বন্ধুত্বের অভিব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’র ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কো🌟ম্পানিগুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, দুর্নীতি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে তারা আপস করে না। যত দ্রুত সম্ভব যৌথ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!