ভর্তুকি হ্রাস করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, “পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্ไয আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যেন মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।”
রোববার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্🅘থ বছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান🃏ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকির প্রয়োজন💦 রয়েছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, “কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।
স্থানী🏅য় সরকারমন্ত্রী বলেন, “টেকসই ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।”
এ সময় ঢাকার আশেপাশের নদ♐ীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, “রাজধানী ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই নদীগুলো দূষণমুক্ত করে নাব্যত🔴া নিশ্চিত করা জরুরি।”
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “সুপেয় পানি মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ওয়াসার আগে অনেক ঘাটতি থাকলেও সেগুলোর সমাধান করে বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দাদের পা♐নি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল♚ সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে পু🦩রস্কৃত করা হয়।