নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাব🌜েক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে।
মঙ𝓀্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে র্যাব-৭ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
এক ক্ষুদে ꦦবার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব ꦿসদর দপ্তর।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, নোয়াখালী🔜-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রামের খুলশী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব বলেছে, ২০১৩🌠 সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের ডাকে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে সোনাপুর-মাইজদী সড়কের দত্তের হাট এলাকায় হরতালের পক্ষের লোকজনের মিছিলে গুলি চালায় হরতাল বিরোধীরা।
সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পরিবহন শ্রমিক মো. খোক✱ন নিহত হন। এ ঘটনায় খোকনের বাবা মজিবুল হক নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানায় একরামুল করিমসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একরামুল করিম নগরীর খুলশীতে অবস্থানের বিষয়টি জানতে পারে র্যাব-৭।꧑ পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় একরামুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ⛦দেশি ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। তার কাছ জব্দ ব্যক্তিগত মালামালগুলো হলো : ১০ লাখ টাকা, ১৬ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, ২ হাজার ১২৪ সিংগাপুরি ডলার, ৪টি এটিএম কার্ড, একটি এনআইডি কার্ড, মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স, সংসদ ভবন আইডি কার্ড, মানিব্যাগ এবং একটি স্বণের্র সদৃশ চেইন।
একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। তিনি টানা চার মেয়াদে আসনটি থেকে নির্বাচিত𝓀 হন। এর আগে একরাম চৌধুরী ২০০১ সালে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বতন্ত্র নির্বাচনের কারণে দল থেকে বহিষ্কার হন। ২০০৩ সালে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ করা হয় একরামকে। ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন একরামু🎃ল চৌধুরী। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হন তিনি। এরপর জেলার রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন।
২০১৯ সা🐟লে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একরামুল করিম চৌধুরী আবারও সাধারণ সম্পাদক হন। এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সভাপতি হলেও তাকে কোণঠাসা করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পরিবারের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করেন। সে সময়ে রাজনীতি না করা ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরীকে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রস্তাব করেন। বিতর্ক ওঠার পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভাঙে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়েন একরাম। তবে এমপি থাকায় জেলার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ছেলে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।