রাত ১২টা পেরোলেই ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে জমে ওঠে ফুলের বেচাকেনা। তবে এবারকার চিত্রটা ভিন্ন। আশানুরূপ ফౠুল বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পহেলা ফাল্গুন ও সরসꦏ্বতী পূজা ঘিরে যে পরিমাণ ফুলের ব্যবসা হয়েছে, সে তুলনায় ২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে হচ্ছে না।
শাওন পুস্পালয়ের ফুল বিক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের ব্যবসার একটা লক্ষ্য থাকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি একসাথে দুই দিবসকে ঘিরে আমাদের ফুল বিক্রির যে লক্ষ্য ছিলো তা মোটামুটি পূরণ হয়েছে। কেউ বেশি লাভ করেছে, কেউ আবার সীমিত লাভের অংশ নিয়ে সংগ্রাম করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে সোমবার থেকে ফুল༒ বিক্রি, অর্ডার খুব কম আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “গতবারের চেয়ে এবার বাগান থেকেই বেশি দাম দিয়ে ফুল কিনতে হচ্ছে আমাদের। ক্রেতা এসে আমাদের কাছে নানা অভিযোগ করেন। পরিবার আছে, ঘর ভাড়া, খরচসহ নানা বিষয় আছে। সেগুলো ভেবেই আমাদের সংগ্রাম করে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ⭕্ছে।”
সরেজমিনে দেখা যায়, দে♑শি গোলাপ, গাঁদাসহ বিদেশি নানা রকমের ফুল দিয়ে দোকান সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশে൩ষ করে শ্রদ্ধাঞ্জলির রিংয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় সেসব রিং তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মচারীরা। তবে সেই তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, বটতলা মার্কেটে প্রতিপিস দেশি গোলাপ ৫০-৬০ টাকা, বিদেশ থেকে আমদানি করা গোলাপ ১০০-১২০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১৫-২০ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস ৩০-৪০ টাকা, জারবেরা ৪০ টাকা, রজনীগন্ধার স্টিক ৩০-৪০ টাকা, লিলি ৫০০ টাকা, ক্যালেন্ডোলা ২০ টাকা, চায়না মাম ১৫০ টাকা, সবু🌞জ মাম ১২০ টাকা, জিপসি (আঁটি) ৫০-৬০ টাকা, গাঁদা (মাল🧸া) ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে ক্রেতার চাহিদার সবচেয়ে শীর্ষে থাকে শ্রদ্ধাঞ্জলির রিং। সাধারণত ২৪ থেকে ৩৬ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে এসব রিংয়ের আকার। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে সেসব রিং সাজিয়ে দেন বিক্রেতারা। ফুলের ভিন্নতা ও রিংয়ের আকারভেদে🔜 এসব শ্রদ্ধাঞ্জলির রিং ১ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি হয়ে থাকে। শাহবাগের এক একটি দোকান এ সময় ২০-৫০টি 🅰পর্যন্ত শ্রদ্ধাঞ্জলির রিং বিক্রি করে থাকে।
এদিকে ফুলের দাম বেশি থাকায় চাহিদা কমেছে বলে মন্তব্য করছেন সাধারণ মানুষ🀅। তারা বলছেন, দিবস এলেই যেভাবে দাম বাড়ে, তাতে কেনা কঠিন হয়ে পড়ে।
পুরান ঢাকা থেকে ফুল কিনতে শাহবাগে এসেছেন মো. রাজিব ইসলাম। ভেবেছিলেন বেশি করে ফুল কিনে শ্রদ্ধাঞ্জলির রিং করবেন কয়েকটা। কিন্তু ফুলের দ🌞াম বেশি থাকায় পরিকল্পনা ছোট করতে হয়েছে তাদের। তাই কয়েকটা শ্রদ্ধাঞ্জলির রিংয়ের জন্য ফুল কিনে নিজেরাই সাজাবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ত🥂িনি বলেন, “আমরা ছোট-খাটো রাজনীতি করি। চাকরি করি না। চাকরি করলে মাস শেষে বেতন পেতাম সেই তুলনায় খরচ করতাম। কিন্তু ইনকাম না থাকায় খুব হিসেব করে টাকা খরচ করতে হয়।🐭 ভেবেছিলাম অনেক ফুল কিনবো। কিন্তু শাহবাগে এসে দেখি ফুলের দাম অনেক বেশি। বেশি ফুল কিনলে নাকি ব্যবসায়ীরা ছাড় দেয়। কিন্তু তা তো দিচ্ছেন না তারা।”