‘বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাဣপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে’ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো, ফানুস ওড়ানো এবং মশাল মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হ🌊াবিবুর রহমান ক্ষমতাবলে🧜 এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেন।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২🎐৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন পালন করবেন এবং ইংরেজি নববর্ষের শুরুতꦍে ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। এ সকল ধর্মীয় ও আনন্দ উৎসব উৎযাপনের সময়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
এ কারণে ডিএমপি কমিশনার 𒁃হাবিবুর রহমান ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুভ বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সবধরনের আতশবাজি, মশাল মিছিল, পটকা ফোটানো, ফানুস উড়ানো ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে গত কয়েক বছরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে ফানুস ওড়ানো, আতশবাজি, পটকা ফুটানোর ঘটনায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে ঘটে যায় অনেকগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। একসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর হটলাইন নম্বরগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০টি অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও ৯৯৯-এর কন্ট্রো🐎ল রুম।
ফায়ার সার্ভিস প্রাথম🧸িক তদন্তে জানতে পারে, এসব অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটেছে ফানুসের কারণে। তবে কয়েকটি আগুন আতশবাজ🌃ির কারণেও লেগেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের খবরের পর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মধ্যেই ফানুস ওড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
গত বছর নেটিজেনরা লিখেছিলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে ফানুসগুলো বিভিন্ন ভবনের ছাদে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করছে। আবার অনেকে লিখেছেন, হালকা বাতাস থাকার কারণে জ্বলন্ত ফ﷽ানুস বাসাবাড়িতে গিয়ে পড়ে আগুনের সৃষ্টি করেছে। এছাড়া অনেকের বক্তব্য, খুবই নিম্নমানের ফানু⛦স ওড়ানোর কারণে সেগুলো নেভার আগেই ফেটে গিয়ে বাড়ির ছাদে পড়েছে।