ড. মুহাম্মদ ইউনূসের 𓄧বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে কতিপয় বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ বির꧙োধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিন𓆉ুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন দেশের কতিপয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খোলা চিঠি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরণের খোলা চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে🦩র বিচার বিভাগের ওপর এ ধরণের ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিশদ বর্ণনায় আরও বলা হয়-
অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়, সেই চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত চলমান মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা একটি স্বাধীন দেশের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও দেশের বিবেকবান সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। কারণ উল্লিখিত খোলা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।♋ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪) অনুযায়ী বিচারকগণ তাদের বিচারিক কাজে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত কার🎉োরই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার নেই।
উল্লিখিত চিঠ𓃲ির বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান আন্তর্জাতিক সংস্থা (ILO) স্বীকৃত শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ওই চিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল বলে আমরা মনে করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকই আইনের দৃষ্টিতে সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই সংবিধানে সকলেরই আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে অনেক নোবেল বিজয়ী অপরাধ করার পর সেই দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন। নোবেল বিজয়ীরা অপরাধ করলেও শাস্তি পাবেন না এ ধরনের দায়মুক্তি বিশ্বের কোথাও নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারকার্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ও স্বাধীনভাবে সম্পূর্ণ হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে বিচারিক হেনস্তার অভিযোগ অমূলক ও অনভিপ্রেত। পাশাপাশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সব সময়ই দেশে ও বিদেশে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।
প্রেরিত খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিবর্গের নিজ নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন𓃲্ত ঘনিষ্ঠ। আমরা প্রত্যাশা করি, বিবৃতিদাতাগণ তাদের নিজ নিজ দেশের মতো বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকেও নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলার সুযোগ দিবেন এবং সম্মান করবেন।
নোবেলজয়ীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে তারই প্💫রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীর দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আহ্বান জানিয়েছেন সেটি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য। এটি একটি দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। এটি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিনা-তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। একই সঙ্গে তারা এ ধরণের বেআইনি এবং অনভিপ্রেত বক্তব্যের বিরুদ্ধে আবারো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশ𒊎ি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ১৬৮টি মামলায় আইনের কোন কোন ধারা লঙ্ঘন করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে অন্যায়ভাবে অপদস্থ করছেন সেটা বিবৃতিদাতাদেরকে বিশ্ববাসীর নিকট স্পষ্ট করার দাবি জানাচ্ছি। তারা তা করতে ব্যর্থ হলে ধরে নিতে হবে যে, বিবৃতিদাতারা প্রকৃত সত্য না জেনে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত হয়ে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে ড. ইউনূসের রাষ্ট্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
পাশাপাশি ১৬০ জন ব্যক্তির এ ধরণের বিবৃতি༒র সঙ্গে বাংলাদেশ বিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র যুক্ত রয়েছে কিনা- তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি। কারণ এর আগেও বিশ্বব্যাংককে ভুল তথ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে ড. ইউনুস রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ করেছিলেন। সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মাধ্যমে মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করে অগণতান্ত্রিক পন্থায় তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। তথাকথিত পশ্চিমা প্রেসক্রিপশন মাইক্রো ক্রেডিটের নামে চড়া সুদে চক্রবৃদ্ধি ঋণের জালে ফেলে গরিবের রক্ত চুষে খাওয়া অর্থ লুটপাট করে ড. ইউনুস বাংলাদেশের সঙ্গে বেঈমানী করেছেন। ড. ইউনুসের চড়া ঋণের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা করা রেখা রাণীর 🥀কথা বাঙ্গালি জাতি এখনো ভুলে যায়নি। জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে বিদেশি পেইড এজেন্টদেরকে দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। কারণ সে প্রতিনিয়ত দেশ ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। আমাদের দাবি, বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে ড. ইউনুসকে অবিলম্বে বাংলাদেশের জনগণের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।