সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর তার সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অন্যতম সালমান এফ রহমান। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সা⭕বেক মহাপরিচালকের একটি ফোনালাপ ‘ফাঁস’ হয়েছে। যা বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভি ও এনটিভি প্রকাশ করেছে। তবে স্বাধীনভাবে এ কথোপকথনের সত্যাসত্য যাচাই করতে পারেনি সংবাদ প্রকাশ।
পুরো ফোনালাপ শুনে বোঝা যায় বিদেশি রাষ্ট্রের একজনকে বাংলাদেশে কাজ করতে দেওয়া প্রসঙ্গে তারা কথা বলছিলেন। বিদেশি ওই নাগরিককে নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিয়োগ দিলে দেশ♔ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এনএসআই প্রধান। তখন সালমান এফ রহমান তাকে বলেন, “আর্থিক বিষয়টি এনবিআরের দেখার বিষয়, এনএসআইয়ের নয়।”
ফোনালাপের শুরুতে সালমান এফ রহমান সাবেক এনএসআই মহাপরিচালককে বলেন, “আমি আগেও আপনাকে বলেছিলাম। এখানে একটু সমস্যা হচ্ছে। হয়তো আপনার অফিসও বুঝতেছে না। আমরা যখন ওয়ার্ক পারমিট দিই, বিডা থেকে যখন আমরা রিকমেন্ড করি, এনএসআইয়ের মেইন জবটা হলো, টু লোকেটেড ফ্রম সিকিউরিটি অ্যাংগেল। দ্য পিপল হ্যাভ এনি সিকিউরিটি রিস্ক অ𝓀র নট। আপনারা ক্লিয়ারেন্স দেন। ট্র্যাডিশনালি এটাই হয়ে আসছে। আর আমরা কর🐼তেছি কী...।”
কথার জবাবে এনএসআইয়ের ওই সাবেক ডিজি বলেন, “ঠিক আছে স্যার। এখন দু-একটি আসপেক্ট আমি আপনাকে বলি। যে লোকটা ভাড়া দেখাচ্ছে ৩০ হাজার টাকা, কিন্তু ৩ লাখ টাকার বাসায় থাকতেছে। সো হি ইস নট পেয়িং ট্যাক্স। কারণ, সে শো করছে ৩০ হাজার টাকা। তিন লাখ টাকার বাসায় থাকতেছে, এটার জন্য সরকারকে পে করার কথা। কিন্তু তিনি করছেন না। তা🍷হলে এটা দেখার দায়িত্বটা কার স্যার?”
এরপর এনএসআইয়ের সাবেক ডিজিকে সালমান এফ রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চপর্য♈ায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
কথার একপর্যায়ে সালমান এফ রহমান বলেন, “এনবিআর ইজ অলসো কম্প্রোমাইজড (দুর্নীতিগ্রস্ত) অর্গা♈নাইজেশন, সিভিল এভিয়ে꧟শন ইজ কম্প্রোমাইজড অর্গানাইজেশন, সবচেয়ে বড় কম্প্রোমাইজড অর্গানাইজেশন ইজ দুদক। এ ছাড়া আপনার (এনএসআই) অর্গানাইজেশনও কম্প্রোমাইজড আছে। বাংলাদেশের কোন জায়গায় কম্প্রোমাইজড নাই...?”