কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মূল ধারার গণমাধ্যমেও শিরোনাম প্রিন্স আবদুল্লাহ আল মামুন ও লায়লা ফরহাদকে নিয়ে। এর💛 আগেও সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জꦑন, কৌতূহল ছিল।
সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মা🔯মলা করেন লায়লা। মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন, বিবাদী প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মামুন।
এবার এ🐽 বিষয়𓄧ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তাসলিমা নাসরিন। যেখানে তিনি বলেছেন, “প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিন্স মামুন ছিল লায়লা আক্তারের ‘জিগোলো’। সেই অল্প বয়সী তরুণদের জিগোলো বলা হয়। যারা টাকাপয়সা আর নানা উপহারসামগ্রীর বিনিময়ে বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গ দেয়। মূলত যৌনসঙ্গ। ৪৮ বছর বয়সী লায়লা ২৪ বছর বয়সী মামুনকে জিগোলো হিসেবেই রেখেছিলেন। মামুনকে তিনি মাঝে মাঝে টাকা দিতেন, তার বিনিময়ে সুদর্শন তরুণটির সঙ্গ উপভোগ করতেন।”
মামুনকে দিয়ে লায়লা টাকাপয়সা রোজগার করতেন অভিযোগ করে তসলিমা বলেন, “মামুনকে শুধু যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করতেন না, মামুনকে তিনি টাকা রোজগারের জন্যও ব্যবহার করতেন। মামুনের পেছনে তিনি যত টাকা ব্যয় করতেন, তার চেয়ে বেশি তিনি মামুনের সঙ্গে ভিডিও বানিয়ে আয় করতেন। জনপ্রিয় টিকটকার মামুন নাচতো বা গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাত, তার পাশে রং করা পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন লায়লা। এসব অর্থহীন রুচিহীন ভিডিও ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকে আপলোড করতেন। শুধু নাচ গানের ভিডিও নয়, মামুন খাচ্ছে, মামুন হাসছে, মামুন খেলছে—সবকিছুর ভিডিও তার করা চাই। মামুনকে♛ দেখার জন্য দর্শক শ্রোতা এত বেশি ছিল যে তিনি এ থেকে মোটা অংকের টাকা রোজগার করতেন। করতেনই বা বলি কেন, রোজগার এখনও করছেন।”
মামুনের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে টিকটক বানিয়ে আরও ধনী হতে চেয়েছিলেন লায়লা, এমন মন্তব্য করেছেন তাসলিমা। তিনি তার পোস্টে বলেন, “তিনি (লায়লা) ধনী। মামুন দরিদ্র। তিনি চেয়েছিলেন মামুনকে সারা জীবন তার জিগোলো বানিয়ে রাখতে এবং মামুনের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে টাকা উপার্জন করতে। এতে বাদ সাধলো মামুন। লায়লার চরম অপমান সহ্য করতে না ♌পেরে সে লায়লার সঙ্গে তিন/চার বছরের সম্পর্কের ইতি টানল। সম্পর্কে ইতꦕি টানা কেন মেনে নেবেন লায়লা? যদিও যে কারও যেকোনো বন্ধুত্বের, প্রেমের, বিয়ের, এমনকি জিগোলোর সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার অধিকার আছে। কিন্তু মামুনকে সে অধিকার কিছুতেই দিতে চাননি লায়লা।”
মামুনকে সহজ-সরল একজন তরুণ মনে করেন তাসলিমা। তাকে ব্যবহার করেছেন লায়লা, এমনটা জানিয়ে তাসলিমা লেখেন, “লায়লার মতো চালাক চতুর নয় মামুন। সে বিশ্বাস করেছিল লায়লা তার ফ্যান, লায়লা তাকে ভালবাসেন। লায়লা তেমনই বলেছিলেন মামুনকে। মামুনের গ্রামের বাড়ি কোথায়, তার নানির ব🉐াড়ি কোথায়, তার পরিবারে কে কে আছে, কী করে তাদের সংসার চলে, মা কে, বাবা কে, বন্ধুবান্ধব কারা, মামুনের বয়স কত, কত টাকা উপার্জন করে, সেই টাকায় সে কী কী কিনেছে—সবকিছু প্রকাশ করলেও তার নিজের বয়স কত, তার বিয়ে হয়েছিল কি না, তার সন্তান আছে কি না, তিনি কী চাকরি করেন, তার বাবার নাম ইত্যাদি পারিবারিক কোনো তথ্যই তিনি প্রকাশ করেননি। মিডিয়া কোনো প্রশ্ন করলে তিনি কায়দা করে উত্তর এড়িয়ে গেছেন।”
ধর্ষণ ও যৌন সম্পর্ক নিয়ে ব্যাখ্যা দেন তসলিমা।ꦺ তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক করলে প্রতারণা হয়, ধর্ষণ হয় না। অনুমতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক করলে হয় ধর্ষণ। লায়লা বুঝে গিয়েছেন মামুন আর তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখব🌄ে না, জিগোলো সম্পর্কটি চুকেবুকে গেছে। মামুনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করাও তার পক্ষে সম্ভব হবে না। এই কারণে তার এত রাগ মামুনের ওপর। মামুনকে বহুবার তিনি হুমকি দিয়েছেন তার সঙ্গে একত্রবাস না করলে, তার সঙ্গে আগের মতো ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েট’ না করলে বা ভিডিও না বানালে তিনি মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা তুলে নেবেন না।...”
নারী-পুরুষের সততা প্রসঙ্গে তাসলিমা নাসরিন বলেন, “নারী 🍷হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেই সে ভালো, সে সত্যবাদী, এ আমি মনে করি না। পুরু🅺ষ যেমন বদমাশ হতে পারে, নারীও তেমন বদমাশ হতে পারে।”