ট্রান্সপা🌺রেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দাবি, সারা🐠 দেশে ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই। এছাড়া ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স-টোকেন এবং ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি-র কার্যালয়ে ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’—শীর্ষক✨ গবেষণা প্রতিবে🌟দন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, সড়কে বাণꩲিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রতিটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও প্রায় ৪১ দশমিক বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে।
টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আ꧑লম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। মূলত বাসের যাত্রী, মালিক, বাসকর্মী ও শ্রমিকদের ওপর চালানো এক জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য উপস্থাপন করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসশ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়, যাদের মধ্যে🅷 ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।
যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে টিআইবির প্রতিব🦂েদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশ▨মিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্ট✨র, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
তবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ♒তথ্যের সঙ্গে বিআরটিএর প্রকাশিত তথ্যের গরমিল রয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাꦅজার ২৪ এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা ৭ হাজার ৯০২।