মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ শুরু হয়েছে। প্রতিবার মেলা রাজধানীর আগারগাঁও অনুষ্ঠিত হলেও এবার মেলা হচ্ছে ঢাকার অদূরে পূর্বাচল- বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে। যা কুড়িল বিশ্বরোড় থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটা✤র দূরে অবস্থিত।
এদিকে পূর্বাচলে সরাসরি কোনো গণপরিহন চলাচল না করাতে মেলায় যাওয়া-আসার পথে সেবা দিচ্ছে বিআꦯরটিসির ৩০টি বাস। যার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৪০ টাকা।
তবে এবারের বাণিজ্য ম🍰েলায় যাওয়ার আগে কিছু প্রস༺্তুতি নিতে হবে আপনাকে।
এগুলো হচ্ছে :
১. মেলায় যাওয়ার প্রথম শর্ত হল🌠ো বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই একসে𓆉ট জামা সঙ্গে নিতে হবে। কারণ পূর্বাচল এলিভেটেড সড়কের কাজ চলমান থাকায় সড়কে প্রচুর ধুলাবালি। যাতে নষ্ট হবে আপনার গায়ের জামা। ফলে মেলায় ধুলাবালি নিয়ে আসবে না ভালো সেলফি। সুন্দর সেলফি না আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেলার ছবি পাবে না আপনার বন্ধুরা।
২. মেলায় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে কুড়িল বিশ্বরোডে যেতে হ🐎বে। আর সঙ্গে ২০ টাকার বাদাম রাখতে হবে। কারণ পূর্বাচলে সরাসরি গণপরিবহন না থাকায় বিআরটিসির স্পে💛শাল বাস সার্ভিসে যেতে হবে। ফলে কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে বাসে দীর্ঘ সময় বসে থাকা লাগবে। তাই সঙ্গে বাদাম থাকলে সময়টা বেশ ভালো কাটবে আপনার।
৩. এদিকে বাদাম খেতে☂ খেতে যখন বাস ছাড়বে তখন এক নিমিষেই বিরক্তি কাটবে। কারণ বাস যখন পূর্বাচল সড়ক ধরে সামনে যাবে এ সময় আপনার চোখে পড়বেܫ সড়কের পাশে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য। আর দেশের প্রথম সুড়ঙ্গ রাস্তা দেখে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যাবে। এছাড়া বাসের চালককে অনুরোধ করে চাইলে সুড়ঙ্গ পথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ঝড় তুলতে পারবেন।
৪. আবার সড়কের সুরঙ্গ পথে দেখে শান্তিতে আবার ঘুমিয়ে যাবেন ন💎া। কারণ সড়কের কৃত্রিম সৌন্দর্য ধুলাবালি দেখার জন্য আপনাকে চোখ খোলা রাখতে হবে।
৫. অন্যদিকে দীর্ঘ ক্লান্তি শেষে মেলায় প্রবেশ ফি ৪০ টাকার টিকেট কেটে মেলায় প্রবেশ করবেꩵন। মনে করবেন না টিকেটের দাম বেশি। কারণ ৪০ টাকা টিকেটে সুবিধা হিসেবে আপনি পাচ্ছেন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সৌন্দর্য𒊎 দেখার পাশাপাশি ফটোশুটের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
৬. ফটোশুট করতে আপনি যখন ক্লান্ত হয়ে পানির তৃষ্ণা লাগবে। তখন পানি খেতে ভয় পাবেন কারণ এবারের মেলায় আছে আধুনিক টয়লেট ব্যবস্থা। 🧸যেখানে দিতে হবে না কোনো সার্ভিস চার্জ। শুধু কষ্ট করে রাখতে হবে নিজ দায়িত্বে পরিষ্কারের বিষয়টা।
এর আগ𝕴ে শনিবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ-চায়না ফꦕ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয় নতুন বছরের প্রথম দিনে, যা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার বাণিজ্য মেলায় ছোট-বড় ম♓িলে ২২৫টি স্টলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে।
এছাড়া এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে এবং সামনের ༺ফাঁকা জায়গা মিলে স্টল থাকবে। এতে করে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টলসহ ৩২টি ক্যাটাগরি রয়েছে।মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যജাফেটরিয়া রয়েছে। একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবে।
এ🦹বারের মেলায় প্রাণ-আরএফএল, যমুনা, আবুল খায়ের🅷, অ্যাপেক্সসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ নিয়েছে।
এ ছাড়া ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, চীনস🅷হ আট দেশ📖ের একাধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।