দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আওয়🐎ামী লীগ সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে এমনভাবে গড়ে তুলছে যাতে বাংলাদেশ কোনোভাবে আক্রান্ত হলে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পার🍷ে।”
সোমবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর নবনির্মিত ‘বানৌজা শেখ হা🅷সিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফꦡারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ঘাঁটির সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না থ🔯াকে, সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।”
তিনি বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না। তবে, যদি কখনো তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হয় তাহলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেইভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে𒆙 হবে এবং সেইভাবেই আমরা আমাদের বাহিনীগুলোকে তৈরি করে দিচ্ছি।”
জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে, আমাদের প্রতিটি প্র🔴তিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সকল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই চাই।”
আশা প্রকাশ করে সরকার প্রধান বলেন, “আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌ-বাহি༺নীর প্রতিটি সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন-সেই ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এই সমুদ্র সীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা যেন অর্থনীতিতে কাজে লাগে সেজন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাছাড়া, এক্ষেত্রে আমাদের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার।”
তিনি বলেন, “বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ💝্র🗹সীমা সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও জোরালো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ আরও বেশি উন্নত-সমৃদ্ধ হবে। সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আমরা আমাদের উন্নতি ও সমৃদ্ধির সোপান ধরে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে ‘উন্নয়নের রোলমডেল’। আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। তাই, আমাদের নৌ-বাহিনীও স্মার্ট বাহিনী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই আমাদের প্রতিটি প🦂্রতিষ্ঠানকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তুলছি।”